নবাবগঞ্জ উপজেলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন করা হলো মুক্তিযোদ্ধা এসএম বজলুর রহমান মৃধাকে। গতকাল রোববার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কলাকোপা গোয়ালনগরের নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহির—-রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন।
গতকাল রোববার বাদ জোহর গোপালপুর জামে মসজিদে প্রথম জানাজা। পরে মাঝিরকান্দা জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মাঝিরকান্দা কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়। জানাজায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের পরিবার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সূত্র জানায়, সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তা স্বাধীনতা সংখ্যা ২০০০ সাল। ৩য় বর্ষ, ১৭তম সংখ্যা, ২৬ মার্চ ২০০০ সাল মুক্তিবার্তা ৯৫ পৃষ্ঠাতে ২১ নম্বরে এসএম বজলুর রহমান মৃধার নাম রয়েছে। তাছাড়া কলাকোপা ইউনিয়ন কমান্ডের পুন:তালিকা নং ১৩। বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা নং ৩২। মুক্তিযোদ্ধা ডেটাবেইজ নম্বর ০৩০১০৩০৩৩০।
সর্বশেষ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের (জামুকা) নবাবগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে বাদপড়াদের পুনঃতালিকায় ১৩ নম্বরে তার নাম রয়েছে বলে নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নিশ্চিত করেছে।
পরিবারের অভিযোগ, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের সভা চলাকালীন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তৎকালীন যাচাই-বাছাই কমিটি তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ্ আবু বকর সিদ্দিকী আবু বলেন, তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। সর্বশেষ যে পুনঃতালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতেও তার নাম রয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল আহসান বলেন, গেজেটে তার নাম না থাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া সম্ভব হয়নি।