ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল আহমেদ (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নতুন বান্দুরা বটতলা সিনেমা হল এলাকায় যুবলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়।
আহত সোহেলকে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নেতা সোহেল নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের কাশিমপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে নতুন বান্দুরা বটতলা সিনেমা হল এলাকায় উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করেই নতুন কমিটি গঠন হচ্ছে জেনে আগের কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ নেতাকর্মীরা সভাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।
এ নিয়ে উভয়পক্ষের তর্কাতর্কির জের ধরে এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল আহমেদকে উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন পিন্তল বের করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে সোহেল দুই পায়ে ও ডান হাতের আঙুলে গুলিবিদ্ধ হন। সোহেল মাটিতে লুটে পড়লে অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে, গুলি করার পরপরই কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আহত সোহেল নিউজ৩৯.নেট-কে জানায়, তাকে উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন পিস্তল বের করে গুলি ছুঁড়লে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সোহেলেকে গুলি করার কথা অস্বীকার করে জানান, সম্মেলন চলাকালে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জালালসহ কয়েকজন তাকে মারধর করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাসুদ করিম নিউজ৩৯-কে জানান, সম্মেলনে সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আহত হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।