নবাবগঞ্জ এলাকায় মোবাইলে কথা বলার জেরে রুপা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে খুন করেছে তার স্বামী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী শাহিন (৩৫) পলাতক রয়েছেন। রুপার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। উপজেলার বালুখন্ড গ্রামে তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে।
নিহতের মা রুকসানা বেগম শীর্ষ নিউজকে জানান, গত দুই মাস আগে রুপাকে যন্ত্রাইল এলাকায় মৃত রহমান মেম্বারের ছেলে শাহিনের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। সোমবার রাতে জামাই শাহিন তাকে মোবাইল ফোনে জানায় রুপার মোবাইলে কে বা কারা ফোন দেয়। এ নিয়ে রুপাকে শাহিন মারধর করে। এ সময় সে রুপার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার সঙ্গে কথা বলা যাবে না বলে শহিন তাকে জানান। তাকে আমি মেরে ফেলবো বলে শাহিন মোবাইল লাইন কেটে দেন।
রুকসানা বেগম আরো জানান, তিনি ভেবে ছিলেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে। মেয়ের জামাই শাহিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ফোন দিয়ে জানান, শাহিন তার মেয়েকে মেরে ফেলছে। এরপর শাহিন ফোন বন্ধ করে দেন।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার নিউজ৩৯ কে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।