নবাবগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে যুবলীগ নেতা খুন

451

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে মাদক কারবারিদের হাতে খুন হলেন মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আটকাহুনিয়া এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. আরিফুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে এবং শোল্লা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হোসেন বলেন, আরিফের সাথে তার বন্ধু ও একই এলাকার মাদক কারবারি রতন, পিয়াসসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জেরে সন্ধ্যায় কয়েকজন ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে ওৎ পেতে ছিল। সে বাড়ি আসা মাত্র তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় বাঁচার জন্য আরিফুল দৌড়ে চাচার ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দরজা ভিতর থেকে লাগিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হামলাকারীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আরিফুলকে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় ঘটনাস্থলের তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সোমবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপপরিদর্শক আবুল হোসেন।

অন্য খবর  জয়পাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের অর্থদন্ড

প্রাথমিক তদন্তের বরাতে নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা আরিফুলকে হত্যা করেছে তারা সকলেই তার বন্ধু ছিল। একসময় তারা সকলেই একসঙ্গে চলাফেরা করতো। কিছুদিন আগে আরিফুলের বন্ধু রতন ইয়াবাসহ মানিকগঞ্জে গ্রেফতার হয়েছিল। তার ধারণা ছিল আরিফুলই তাকে ধরিয়ে দিয়েছিল। তার জের ধরেই সে কয়েকজনকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড চালায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন জানান, রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ধারালো দেশীয় অস্ত্রসহ আরিফুলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় আরিফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলে তারা ধাওয়া দেয়।

এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

আপনার মতামত দিন