আব্দুর রাহিম, প্রতিবেদক, নিউজ৩৯ঃ নবাবগঞ্জ উপজেলায় নির্মানাধীন ভবনের উপরে থাকা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে রিপন (২০) নামে এক নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের কুমার বাড়িল্যা এলাকার শেখ আসর উদ্দিনের বাড়িতে কাজ করার সময়ে স্টীলের গজ বিদ্যুতের খুঁটির মুল তারে লেগে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপন পার্শ্ববর্তী কান্দা বাড়িল্যা গ্রামের মো. মোজাফ্ফরের ছেলে। সে হযরত আলী নামের এক রাজমিস্ত্রি ঠিকাদারের হেলপারের কাজ করতো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমার বাড়িল্যা-দাউদপুর নির্মানাধীন পাকা সড়কের পাশ ঘেষে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। শেখ আসর উদ্দিন বিদ্যুতের খুঁটি তার ভিতরে রেখে পাকা ভবন নির্মান করছিলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ এলাকাবাসী নিষেধ করলেও তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভবনের পাশ্ববর্তী বিদ্যুতের খুঁটি ঘেষে মাঁচান তৈরি করে প্লাস্টারের কাজ করা হচ্ছিল। দিনের কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া চলছিল। এসময় রিপন প্লাস্টার করার স্টীলের গজ সরিয়ে আনার সময়ে তা বিদ্যুতের মূল তারে লেগে যায়। রিপন তাৎক্ষণিক সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বারুয়াখালী ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোসলেম মিয়া বলেন, বিল্ডিং ওঠানোর সময়ে আসর উদ্দিনকে বার বার পিছিয়ে করতে বলেছিলাম। আমার কোন কথা শোনেনি সে। ওল্টো আমার উপর চড়াও হয়।
এবিষয়ে নির্মানাধীন ভবনের মালিক শেখ আসর উদ্দিন বলেন, আমি রাস্তা ছেড়ে ভবন করছি। ঠিকাদার আমার আত্মীয়, ও বলেছে, ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে, বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে দেবে। আবেদনও করেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রজু করেছেন।