নবাবগঞ্জে বস্তাবন্দি অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার

386

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় নিশা আক্তার(১৬) নামে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নুরনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিশোরীর নানা আব্দুল মালেক বেপারী নবাবগঞ্জ থানায় পাঁচ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মালেক বেপারীদের সাথে প্রতিবেশী আত্মীয় আছমা আক্তার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বুধবার(১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে আব্দুল মালেক বেপারীর নাতনী নিশা আক্তারের সাথে প্রতিবেশী আছমা আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে আছমা তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নিশা তার নানার বাসা থেকে বের হয়ে পাশের ঘরে কলম আনতে গেলে আছমাসহ আরও বেশ কয়েকজন পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে আছমাদের বাড়ির রান্না ঘরের পেছনে নিয়ে হাত পা বেঁধে এলোপাথারী মারধর করে একটি বস্তার ভেতর ভরে রাখে।
এদিকে নাতনীকে না পেয়ে আব্দুল মালেক বেপারীসহ তার পরিবারের সবাই বাড়ীর চারপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরে রাত আটটার দিকে আছমাদের বাড়ির রান্না ঘরের পেছন থেকে হাত পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় একটি বস্তা থেকে নিশাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ ঘটনার সাথে জড়িত উল্লেখ করে সামসুন্নাহার (৫০), সালমা আক্তার (২৫), আছমা আক্তার (২৮), সেলিম আহমেদ (৫৫) ও চায়না আক্তার (৪৫) কে আসামি করে নিশার নানা আব্দুল মালেক বেপারী নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তদের বাড়ি ঘটনাস্থল নুরনগরে গিয়ে চায়না আক্তারকে ছাড়া অন্য কাউকেই সেইসময় বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। এসময় চায়না আক্তার জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বে আমাদের ফাঁসাতে এমন ঘটনা সাজানো হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, আহত অবস্থায় নিশা নামের একটি মেয়েকে উদ্ধারের খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আপনার মতামত দিন