দোহার নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৬

258

দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত সোমবার বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন বাহ্রা ইউনিয়নের কান্দামাত্রা গ্রামের কৃষক স্বপন মজুমদার, শোল্লা ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামের কৃষক গিয়াসউদ্দিন ও গৃহবধু আলেয়া বেগম, নয়নশ্রী ইউনিয়নের বাংলাবাজার গ্রামের গৃহবধু সোনা বানু ও আব্দুর রহমান, এবং দোহার থানার নারিশা পশ্চিম চর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম।

স্বপন উপজেলার কান্দামাত্রা গ্রামের গৌরাঙ্গ মজুমদারের ছেলে এবং গিয়াস উদ্দিন চক সিংহরা গ্রামের গর্জন খানের ছেলে। পারিবারিক সূত্র ভোরের ডাককে জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের কান্দামাত্রা গ্রামের স্বপন মজুমদার বাড়ির অদূরে জমি চাষ করতে যান। ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার সময় ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি।

আশপাশের কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, একই সময়ে উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের চকসিংহরা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন জমি চাষ করতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন। স্থানীয় লোকজন তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া সোমবার দুপুর ১টায় দোহারে বজ্রপাতে একজন নিহত হয়েছে। নিহতের নাম আঃ কাশেম (৪৮)। তার বাড়ী দোহার থানার নারিশা পশ্চিম চরে। জানা যায়, তিনি মাছ ধরতে পদ্মা নদীতে যান। কিন্তু বিরুপ আবহাওয়ার কারনে তিনি তীরে ফেরার সময় বজ্রপাত হলে তা ঠিক তার মাথায় পড়ে, ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে তাকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাঃ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জের ওসি রদবদলঃ ২ প্রতিবেশী আবার একসাথে

উপজেলা প্রশাসন প্রত্যেক নিহত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করবে বলে ঘোষণা দেয়।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিনে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে নিহত হয়েছে। আহতদের নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তাদের মৃত্যু হয়। নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে সরকারীভাবে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করবে বলে ঘোষণা দেয়।

আপনার মতামত দিন