নবাবগঞ্জে ফোন করে ঢেকে নিয়ে মোটর সাইকেল চালককে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা

371

নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর শৈল্যা গ্রামের জাকির হোসেন নামে এক মোটর সাইকেল চালক হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে । শনিবার নিহত জাকিরের স্তী মোকসেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৫। তবে পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। মামলা সূত্রে জানা যায়, পুরান তুইতালের মো. রহিমের পুত্র শফিক (৪০) ও আফজাল নগরের মৃত শফি উদ্দিনের ছেলে মো. জাকির (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা ০৪/০৫ জনকে আসামী করে নিহতের স্ত্রী মোকসেদা বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, নিহত জাকিরের সঙ্গে আসামী জাকিরের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা ছিল। গত ৩০ সেপ্টম্বর দুপুর অানুমানিক সাড়ে ৩ টায় মামলার এক নম্বর আসামী শফিক মোবাইল ফোনে কল করে বসত বাড়ী পুরান তুইতালে ডাকে। আসামী শফিকের ওই বাড়িতে আগে থেকেই আসামী জাকিরসহ অজ্ঞাতনামা আরো চার পাচ জন অবস্থান করে ছিল। এরপর বিবাদীরা তার স্বামীকে সুকৌশলে শফিকের বসত ঘরে ঢুকিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নেশা জাতীয় বিষাক্ত দ্রব্য সামগ্রী খাওয়ানো হয়। অবস্থার বেগতিক হলে অজ্ঞান অবস্থায় বসত ঘরের সামনে ফেলে রাখে। আসামী শফিকের প্রতিবেশী মো. সজীব তালুকদার (২২) নিহতের বাড়ীতে এসে নিহতের পিতা আবুল কালাম (৭০) কে আসামী মো. শফিকের বসত বাড়ীতে ডেকে নেয়। নিহতের পিতা শফিকের বাসায় গিয়ে দেখেন, তার সন্তান অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরনে একটি প্যান্ট ও সেন্টু গেঞ্জি। কিন্তু গায়ে শার্ট নেই। এ সময় ওখানে জুয়েল মাস্টার ও আসামী জাকিরসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে দেখতে পান। তাকে কোনো ধরনের সেবা সশ্রুষা না করে দাড়িয়ে আছেন তারা। নিহতের পিতা আবুল কালাম সন্তানকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য উপস্থিত জুয়েল মাষ্টার ও মামলার আসামী জাকিরকে ধরার জন্য অনেক অনুরোধ করেন । কিন্তু কেউ ধরতে রাজি হননি। উপায় না দেখে নিহতের পিতা বাসায় গিয়ে নিহতের ছোট ছেলে মো. ইব্রাহিম @ জয় (২১) এবং বোনের জামাই মো. মোবারক হোসেন (৩২) এবং নিহতের স্তী সহ একটি আটো নিয়ে ফের ঘটনাস্হল শফিকের বাড়ীতে যান। যাওয়ার পর আসামী জাকির নিহতের পিতাকে হুমকি ধামকি দিয়ে তার ডাকে। কাছে গেলে আসামী জাকির বলে, সন্তানকে নিতে হলে সাইন করতে হবে। দ্রুত সাইন কর। নিহতের পিতা ভয়ে সাইন করেন। এরপর দ্রুত ছেলেকে অটোতে করে বাড়ীতে নিয়ে যান। অবস্থা খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। অবস্থা আরো খারাপ হলে ডাক্তার প্রথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( মিটফোর্ড) উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেন। চিকিৎসকদের কথা মতো দ্রুত তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরের দিন ১লা সেপ্টেম্বর ভোর রাত অনুমান ০৪.৫০ ঘটিকার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির মৃত্যুবরন করেন।

আপনার মতামত দিন