নবাবগঞ্জে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় আটক তিন

1370

নবাবগঞ্জ উপজেলার পাড়াগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিত্সায় নূর জাহান (২৮) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ক্লিনিক ভাংচুর করে। পুলিশ ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত নূরজাহান উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মাইলাইল গ্রামের মো. রমজানের স্ত্রী এবং মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চরপল্টন গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল বারেকের মেয়ে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে নূর জাহানের প্রসব ব্যথা উঠলে স্বজনরা রাত ২টার দিকে স্থানীয় পাড়াগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সে সময় ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার ছিল না। ভোর ৪টার দিকে প্রসব ব্যথা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। স্বজনরা ডাক্তার আসার সময় জানতে চাইলে ‘এসে গেছে’ বলে জানানো হয়। তারপর প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান নার্সরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রসূতির মরদেহ স্বজনদের বুঝে নিতে বলা হয়। স্বজনদের অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে উত্তেজিত জনতা ক্লিনিকের জানালা ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে ক্লিনিকের ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন, প্রধান নার্স মাহফুজাসহ তিনজনকে আটক করে।এ দিকে, ঘটনার পর থেকে ক্লিনিক-সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দিয়েছেন। নিহতের বাবা আব্দুল বারেক বলেন, ‘হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। আমি তাদের বারবার বলেছি, ভালো ডাক্তার না হলে মেয়ের অপারেশন করাবো না। নার্সরা আমার কথা শোনেনি। নার্সরাই আমার মেয়ের অপারেশন করতে গিয়ে  পেটের বাচ্চাসহ মেয়েকে  হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

অন্য খবর  গালিমপুরে আগ্নিকাণ্ডে বসতঘর ছাই

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত আনসারী জিন্নাত আলী বলেন, ‘রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আপনার মতামত দিন