ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রসমাজের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। সোমবার দোহার-নবাবগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রসমাজ ও ছাত্রলীগের মধ্যকার এই সংঘর্ষে ছাত্রসমাজ কলেজ শাখার সভাপতি মো. শাহিনসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়।
সোমবার সকালে ছাত্র সমাজের কয়েকজন কয়েকজন কর্মী কলেজ ক্যাম্পাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের পোস্টার লাগাতে যায়। এসময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সিজানসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। ঘটনার একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষে ছাত্র সমাজের দোহার-নবাবগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখার সভাপতি মো. শাহিনসহ ছাত্র সমাজ কর্মী খলিল দেওয়ান, সুমন, জাহিদ ও রানা আহত হয়। আহতদের স্থানীয় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দোহার-নবাবগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন সিকদার বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত ছিল না। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। অপর দিকে, ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. শাহিন বলেন, “ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. সিজানসহ আরও ২৫/৩০ জনের ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এই কলেজ ছাত্রলীগের দখলে বলে তারা জানায়। পোস্টার লাগাতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।“
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করে নি। “