নবাবগঞ্জে চার মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

970

নবাবগঞ্জে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ও দাফনের চার মাস পর কোর্টের নির্দেশে কবর থেকে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার চূড়াইন শংকরখালী গ্রামের প্রবাসী মো. রাসেলের স্ত্রী। ঘটনার চার মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় কবরস্থান থেকে কোর্টের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ মিথুন মুন্নীর উপস্থিতিতে লাশটি তোলা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চূড়াইনের শংকরখালী নিবাসী রাসেলের সঙ্গে প্রতিবেশী সোনিয়া আক্তারের পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। সোনিয়ার মা লাকী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সোনিয়ার স্বামী রাসেল চাকরির জন্য তার কর্মস্থল কাতার চলে গেলে তার ওপর শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতন শুরু হয়। গত বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর রাতেও সোনিয়ার ওপর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করেন। সকালে সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের জানান, সোনিয়া আত্মহত্যা করেছে। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। শশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু মামলা দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের মা লাকী আক্তার তার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আদালতে মামলা করেন। মামলার তদন্তের ভার দেয়া হয় ডিবি পুলিশকে। সেই সঙ্গে আদালত লাশ পুনরায় উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ মিথুন মুন্নী, ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ মিথুন মুন্নী বলেন, কোর্টের নির্দেশে লাশটি কবর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে তুলে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত দিন