ঢাকার নবাবগঞ্জে শিমু আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের বকচর গ্রামের মাসুদ কাজীর স্ত্রী। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় স্বামীর বাড়ি থেকে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে জমি থেকে ফিরে বাড়ির উঠানে দিন মজুরদের খাওয়াচ্ছিলেন মাসুদ কাজী। শিমু আক্তার ঘরে শিশু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। হঠ্যাৎ সন্তানের কান্নার শব্দ পেয়ে ঘরে যায় মাসুদ কাজী। শিশুটিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময়ে শিমু আক্তার বিছানা থেকে ইশারায় তাকে হাসপাতালে নিতে বলছিলেন। বাড়ির লোকজন সন্ধ্যার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নাজমুল ইসলাম সজীব জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের স্বামীর বাড়ি থেকে সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উপপরিদর্শক নাজমুল ইসলাম সজীব আরও জানান, সোমবার দুপুর পর্যন্ত এঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।