ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলার জের ধরে এক ক্যাবল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বর্দ্ধনপাড়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মিঠু কাজীকে প্রথমে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মিঠু বর্দ্ধনপাড়ার মৃত জলিল কাজীর ছেলে।
এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নয়নশ্রী ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান পলাশকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বর্দ্ধনপাড়া এলাকায় ক্যাবল ব্যবসায়ী মো. মনোয়ার হোসেন ও মিঠু কাজীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় রোববার রাতে মামলা হলে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি জসিম, আমিনুল ইসলাম, শিমুল, অপু, শামিম, ফারুক হোসেন, দেলোয়ার ও কাইয়ুমসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সোমবার ফের মিঠু কাজীর কাছে চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
মিঠু কাজীর স্ত্রী নার্গিস বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। আমি এ হামলার বিচার চাই।
মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিঠু কাজী তার ছেলেসহ আরও ৫-৭ জন নিয়ে সোমবার সকালে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর আমার লোকজন মিঠু কাজীর ওপর হামলা করে।
এইদিকে অভিযুক্ত পলাশ বলেন, আমি ঢাকা অবস্থান করছি। কে বা কারা ওই হামলা করেছে তা আমার জানা নেই।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।