ঢাকার নবাবগঞ্জে ইছামতির শাখা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রায় চারশ’ পরিবার। এরই মধ্যে গত একমাসে ৩০ পরিবার বাসস্থান হারিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে নদীর দু’পাড়ের আরো প্রায় সাড়ে তিনশ’ পরিবার। এলাকাবাসী জানান, পাশের উপজেলা দোহারের পদ্মা নদীর সঙ্গে একমাত্র সংযোগ এই ইছামতির শাখা নদীর।
নদীটি পদ্মা নদী থেকে জয়পাড়া হয়ে সাহেবখালী দিয়ে সাদাপুরে এসে মূল ইছামতি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এবছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে নদীতে প্রচণ্ড স্রোত বইছে। তীব্র স্রোতে ভূমিক্ষয় হয়ে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গত একমাসের ভাঙনে উপজেলার সৈয়দপুর, হযরতপুর, সাদাপুর, আলহাদিপুর ও সাহেবখালী গ্রামের ৩০ পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টি পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত ভাঙনে ওই এলাকার সাড়ে তিনশ’ পরিবার এখন আতঙ্কে রয়েছে।
সাদাপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত রুমা দেওয়ান বলেন, ‘ভোটের সোম সবাই আহে, ভোটের জন্য, ভোট ফুরাইলে আর কেউ আহে না । আমাগো হগলের বাড়িঘর ভাঙ্গা যাইতাছে. কেউ আমাগো খবর নেয় না।’
হযরতপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজল ভূইয়া জানান, ‘বাড়ির পাশে দুই পরিবারের বসতভিটা নদীতে চলে গেছে। আমার বসতভিটাও অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। এবছর আমার গ্রামের ১৫ পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। সরকারিভাবে নদীর তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থা না নিলে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বো।’
আপনার মতামত দিন