অপহৃত নবাবগঞ্জ উপজেলার ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেল নবাবগঞ্জ ও সিংগাইর থানার সীমান্তবর্তী এলাকার খতিয়া গ্রামে পাট ক্ষেত থেকে চালক সাইদুল ইসলামের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়। সাইদুর ইসলাম উপজেলার কৈলাইল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেমর দুপুরে সাইদুল ইসলামের ইজিবাইক ভাড়া করে স্থানীয় শাহ আলম। সে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাইদুলকে নবাবগঞ্জ ও সিংগাইর থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যায়। পরে ইজিবাইকটি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা মুক্তা-মিতু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি গাড়ির গ্যারেজে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেয় এবং গাড়ির মালিক এলে বাকি টাকা দেয়া হবে বলে জানায়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ থানার কৈলাইল গ্রামের আরিফ, শহীদ, রানা এবং জাহিদুল নামে ৪ যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে খতিয়া এলাকা থেকে সাইদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুল ইসলাম জানান, ঘটনার মূলহোতা শাহ আলম ইজিবাইকটি বিক্রি করে মেয়ের জন্মদিন পালন করবে বলে পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী সাইদুল ইসলামকে নবাবগঞ্জ ও সিংগাইর সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।