নবাবগঞ্জ উপজেলায় নয়নশ্রী ইউনিয়নের ছোট তাশুল্লায় থেকে শনিবার বেলা ১১টায় বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত থাকাবস্থায় কানিজ ফাতেমা মুক্তা (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। মেয়েকে অপহরনের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গৃহবধূর বাবা। এ ঘটনায় নিহত মুক্তার স্বামী আলমগীর ও দেবর ফারুককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা নয়নশ্রী ইউনিয়নের ছোট তাশুল্লার মো. মোসলেমের ছেলে। নিহত মুক্তা রাজধানীর মধ্য বাড্ডার মো. মজিবরের মেয়ে।
নিহতের বাবা মো. মজিবর অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আলমগীর ৫দিন আগে কলেজে যাওয়ার সময় আমার মেয়েকে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আজ শুনলাম আমার মেয়ে না কি আত্মহত্যা করেছে। ওরাই আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছেন।
আটককৃত মুক্তার স্বামী আলমগীর বলেন, গত দু’বছর আগে ওর সাথে আমার কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে। আমি মুক্তাকে অপহরণ করিনি। গত শুক্রবার রাতে আমি ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় ছিলাম।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মুন্সী আশিকুর রহমান বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।