নবাবগঞ্জের ৫৩ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

386

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৫৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। বিদ্যালয়গুলো চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১৩০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রাজাপুর, কঠুরী; বারুয়াখালী ইউনিয়নের কুমার বাড়িল্যা, আলালপুর, করপাড়া, কান্দাবাড়িলা, রায়পুর; শিকারীপাড়া ইউনিয়নের হাগ্রাদী-গরীবপুর, চারাখালী, পাঞ্জিপহরী, শিবপুর; নয়নশ্রী ইউনিয়নের ঘোষপাড়া, ডিগনারা, বকচর, শান্তিনগর, বিলপল্লী; বান্দুরা ইউনিয়নের মৌলভীডাঙ্গী, সৈয়দপুর; যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, কিরঞ্চী, চন্দ্রখোলা, হরিষকুল, নলগোড়া, হরিষকুল, জালালচর-ময়মন্দি; শোল্লা ইউনিয়নের কো-া, সুলতানপুর, দক্ষিণ বালুখ-, আটকাহনিয়া, কুমল্লী, চকোরিয়া চকবাড়ি, আবদানী, শোলানগর, দত্তখ-, দুধঘাটা; কৈলাইল ইউনিয়নের কৈলাইল, দড়িকান্দা, ভাঙ্গাভিটা, পাড়াগ্রাম, মধুপুর, দক্ষিণ মেলেং, মালিকান্দা, মোল্লাকান্দা; বাহ্রা ইউনিয়নের বাহ্রা পশ্চিম, উত্তর বাহ্রা, আগলা, আলগীচর; বক্সনগর ইউনিয়নের বক্সনগর বালক, বক্সনগর; আগলা ইউনিয়নের নাওপাড়া, মাঝপাড়া; চুড়াইন ইউনিয়নের মরিচপট্টি, কামারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।

৪৮নং মৌলভীডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, বিদ্যালয়ে ৩শ শিক্ষার্থী রয়েছে। পাঠদানে প্রধান শিক্ষকসহ সাতটি পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ছয়জন শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৫৭নং গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, এই বিদ্যালয়ে ৩৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। পাঠদানে প্রধান শিক্ষকসহ আটটি পদ রয়েছে। দুই বছর ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

অন্য খবর  দেশের বিভিন্নস্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে দোহারে মানববন্ধন।

গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. বাবু বলেন, আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। আগামী বছর সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেবে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন অভিভাবক। এই বিদ্যালয়ে তা নেই। এতে কোমলমতি শিশুরা শিক্ষার বিকাশে পিছিয়ে পড়ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আহমেদ বলেন, প্রধান শিক্ষক নেই, এ রকমের বিদ্যালয়গুলোয় সহকারী শিক্ষকই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে খুব শিগগিরই বেশ কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন