নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভোগান্তির আরেক নাম ঘোষাইল টু ধূলশুড়ার রাস্তাটি। প্রাচীন জনপদের জনপ্রিয় এই রাস্তাটির মাঝে কোন রকমে কিছু ইটের কাজ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ এই রাস্তাটি নতুন করে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি খানা-খন্দ ও বেহাল দশা হয়ে পড়েছে ও মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এ রাস্তাটি। আসলে এটিকে এখন রাস্তা বা সড়ক বলতেও লজ্জ্বা লাগে। এই উঁচু – নিচু, এবড়োখেবড়ো রাস্তার কারনে এই অঞ্চলের সকল মানুষ চরম ভোগাম্তি পোহাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও নিত্যদিনের যাতায়াতকারী জনসাধারণ আছে নির্মম যন্ত্রণায়।
এদিকে ভোগান্তি ও যন্ত্রণা চরমে পৌঁছে যায়, বিশেষ করে যখন কোন মানুষ মুমূর্ষু হলে, তাকে এম্বুল্যান্স বা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্হা পর্যন্ত থাকে না। কখনো কখনো রোগী নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেওয়ার পূর্বেই রোগী রাস্তায় মারা যায়। এছাড়া চুরি, ডাকাতি ও আইনশৃংখলার অবনতির ক্ষেত্রে থানা প্রশাসনেরও সহযোগিতা পেতে বেগ পেতে হয়। ফলে, ধীরে ধীরে অপরাধ জগতের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠার আশংকা দেখা দিয়েছে এই জনপদে।
এছাড়া কখনো কখনো ঘোষাইল – রায়পুর ব্রিজের ঢালে অটোরিকশা, সিএনজি, পিকআপ উল্টে বেশ কয়েকবার খাদে পড়ে যায়। হতাহতের ঘটনা এখানে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
স্থানীয় যুবক আল-আমিন নিউজ৩৯কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটাকে কি কোন রাস্তা বা সড়ক বলা যায়? এই সড়কটি জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে। সাধারণতঃ বর্ষার সামান্য পানিতে রাস্তা ডুবে যায়। এরপর সেই রাস্তা আর মেরামতও করা হয় না। যাতায়াতের অসুবিধার কারনে জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসীর সাথে বেরিবাঁধের পূর্বাঞ্চলের মানুষের সার্বিক যোগাযোগ ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এভাবে নবাবগঞ্জ উপজেলার এই অঞ্চল সার্বিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদুর রহমান (মাসুদ) নিউজ৩৯কে বলেন, ” এ রাস্তাটির মেরামত করে চলাচলযোগ্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে সরকারের এল,জি,আর,ডি মন্ত্রণালয় যদি সহযোগিতা করে, তাহলে এ রাস্তাটি নতুন করে ( আর-সি ঢালাই) নির্মাণ করা সম্ভব হবে। নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকোশৌলী এবং পিডি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। এই রাস্তাটির ইতিমধ্যে জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন ঝিলু ও সাংসদ সালমান এফ রহমান বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছেন। বর্তমানে রাস্তাটির দরপত্রের আহবান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কবে নবাবগঞ্জের এই পশ্চিম অংশের ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা, এই সড়কটি উন্নত হবে, মেরামত হিবে, পাকা হবে, তাইই এখন দেখার বিষয়। জনপ্রতিনিধিরা কথা দিয়েও, তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এখন প্রতীক্ষা কবে হবে রাস্তা?