ঢাকার নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউনিয়নের মদের গ্রাম নামে খ্যাত রূপারচরের চিহ্নিত ১৫ মাদক ব্যবসায়ী প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপারচর বাজারে শোল্লা ইউনিয়ন পুলিশিং সেল আয়োজিত জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী মতবিনিময় সভায় তারা আত্মসমর্পণ করে। ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ দক্ষিণ মাছুম আহমেদ ভূঁইয়া ও নবাবগঞ্জ ইউএনও তোফাজ্জল হোসেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় তারা সব ধরনের বাংলা মদ তৈরি, মাদক বিক্রি ও সেবন থেকে নিজেদের বিরত রাখার শপথ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ-দক্ষিণ) মাছুম আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আজ যারা শপথ নিলেন তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। সৎ পথে চলুন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এরপর কেউ মাদক ব্যবসা করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
ইউএনও তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদেরই সমাজের অংশ। আমরা চেয়েছি তাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য। যারা সুযোগটা গ্রহণ করলেন তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন রূপারচরের রবিউল মিয়া, রতন মিয়া, সুজন, নুরু, মহর, টুটুল, মহিল, সেলিনা, জুসনি, সাহেদা, আ. খালেক, আ. মালেক, লাল চাঁন, হবি ও নজরুল মিয়া।
আত্মসমর্পনকারী প্রবীণ নুরু বলেন, আজ থেকে আমরা এই রূপারচরে মদ বানামু না, বেচমু না আর কাউকে বানাতে দিমু না।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জুসনি বেগম বলেন, আমরা এখন থেকে মদের ব্যবসা করুম না। ভালো হয়ে যামু। মাদক জীবনে কোনো শান্তি নাই।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, রূপারচরের ১৫ মাদক ব্যবসায়ী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। আশা করি বাকিরাও তাদের পথ ধরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। শোল্লা ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান তুহিনুর রহমান তুহিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু, কলাকোপা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল কৈলাইল ইউপি চেয়ারম্যান পান্নু মাদবর, শায়েস্তা ইউপি চেয়ারম্যান মুসলেম উদিদ্দন চোকদার, প্রেস ক্লাবের সম্পাদক আজহারুল হক প্রমুখ।