ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অগ্নিকান্ডে সারিবদ্ধ করে রাখা এন মল্লিক পরিবহনের দশটি বাস ও পনেরোটি দোকান পুড়ে গেছে। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বান্দুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। শেখ। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দুপুর একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) হুমায়ন কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাহউদ্দিন মনজু, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-৫ এর উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, দোহার সার্কেলের এএসপি জহিরুল ইসলামও নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, সকালে বান্দুরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চুন্নুর তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমাদের প্রাথমিক ধারনা। মুহূর্তের মধ্যে সে আগুন আশেপাশেসহ কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে এবং লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাস স্ট্যান্ডে সারিবদ্ধ করে রাখা এন মল্লিক পরিবহনের ১০ টি বাস আগুনে পুড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও দোহার ও কেরানীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দের ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-৫ এর উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত, তদন্তের আগে তা বলা যাবে না। তদন্ত করে জানতে পারব কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই এলাকায় নদীর পাড়ের ময়লার স্তুপ পোড়ানোর জন্য কেউ আগুন দেয়। সে আগুন আস্তে আস্তে মুরসালিনের তেলের দোকানে এসে লাগলে আশেপাশের দোকানগুলোসহ সারিবদ্ধ করে রাখা এন মল্লিকের বাসগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এন মল্লিক পরিবহনের কর্ণধার নার্গিস মল্লিকের দাবি ঘটনাটি পরিকল্পিত। ষড়যন্ত্রকারীরা ফেসবুকে লিখেছিল এন মল্লিকের সব কয়টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিন। তারাই ষড়যন্ত্র করে গাড়িতে আগুণ দিয়েছে। তারা আমাকে গাড়ি সরাতে বলেছিল, আমি গাড়ি সরাই নাই তাই তারা আগুন লাগিয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।