দোহারের সর্ব পশ্চিমের পদ্মার কুলঘেষা নয়াবাড়ি ইউনিয়নের ধোয়াইর বাজারে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক দূর্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। শনিবার রাত দেড়টা থেকে শুরু হওয়া এই ডাকাতি ২ টা পর্যন্ত চলে। এবং এসময় ধোয়াইর গ্রাম বাসী ডাকাতির কথা জেনে গেলে ডাকাত দল তিন চারটা ককটেল ফুটিয়ে ধোয়াইর বাজারে আতংক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, রাত দেড়টার সময় ডাকাত দল ধোয়াইর বাজার আক্রমন করে। প্রথমেই তারা ধোয়াইর বাজারের পাহারাদার আমিরকে আটক করে হাত-পা বেধে ফেলে। হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে ধোয়াইর বাজারের আরেক দোকানদার হান্নানের টেইলার্সের দোকানে বেধে ফেলে। এই সময় হান্নান ও তার স্ত্রী দোকানে কাজ করছিল। এই সময় ডাকাত দল তাদেরও বেধে ফেলে। এর পর তারা বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকান ও এক স্বর্ণের দোকান থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এর মাঝে রাত দুইটার দিকে পুলিশের একটি টহল দল এস আই ফিরোজের নেতৃত্বে ধোয়াইর বাজারে এসে উপস্থিত হলে তাদের উপর ককটেল হামলা করে ডাকাত দল। এসময় পুলিশের পাল্টা আক্রমনে ডাকাতদল পিছু হটতে থাকে। এই সময ডাকাত দলের এক সদস্য পুলিশের দুই সদস্যর তাড়ায় দল ছুট হয়ে পড়লে সে পদ্মা নদীতে লাফ দেয়। এবং আরেক দিকে ডাকাত দল এসআই ফিরোজের উপর হামলা করলে পুলিশের সেই দুই সদস্য এসআই ফিরোজকে ডাকাত দলের আক্রমনের থেকে উদ্ধার করে। পরে ডাকাত দল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে পালিয়ে যায়।
রাত দুইটা থেকে রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত লোকে লোকারন্য পরিনত হয় ধোয়াইর বাজার। এই সময় জানা যায়, ডাকাতির ব্যাপারে ধোয়াইর বাজারের সামসুদ্দিন মেম্বারকে আগেই সতর্ক করে রেখেছিলেন ধুলসুরা বাজারের লোকজন। কারন তারা রাত ১০ টার দিকে পদ্মা নদীতে সন্দেহ জনক গানবোটের শব্দ পায়। কিন্তু তারা ব্যাপারটা গুরুত্ব না দেয়ায় এই ঘটনা ঘটে।
এই দিকে এই ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধোয়াইর বাজার থেকে ডাকাতি প্রতিরোধে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া গত কালও ধোয়াইর বাজার, কান্তারটেক, ধুলসুরায় পদ্মা নদীতে ডাকাতদের সন্দেহ জনত সেই গানবোটের শব্দ পাওয়া গেছে।