ঢাকা জেলা দক্ষিনে  বৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশংকা নিয়েই দোহার, নবাবগঞ্জ,  কেরানীগঞ্জ  উপজেলায় ধান কাটার ধুম পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ধান বেশী ভালো হয়ে বলে জানিয়েছে কৃষান ও জমির মালিকরা।  তাই তারা এখন সবকিছু ভুলে ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলার মরিচা এলাকার কৃষক আউয়াল বলেন, এখন আকাশের পানে চেয়ে থাকি কখন কালো মেঘ ভাসে। ভয় হয় কখন ঝড় আসে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলা পড়লে তো আর ফসলের রক্ষা নাই। তাই যেভাবেই হোক ধান কেটে গোলায় ভরতে হবে। আর তাই ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি।

নবাবগঞ্জ  উপজেলার শংকরদিয়া গ্রামের কৃষক নেহা উদ্দিন বলেন যে আল্লাহ রহমতে এবার ধানের ফসল ভালো হয়েছে। আর তাই শ্রমিক নিয়ে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। গত বছরের তুলনায় আল্লাহ রহমতে এবার ধান চাষে ভাল ফলন হয়েছে। আর এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছর চলে যাবে।

দোহার উপজেলায় নিকড়া চকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরের জমিতে সোনালী ধানের এ মহাসমারোহ যেন কৃষকের মুখে সোনালী হাসির ঝিলিক নিয়ে এসেছে। মহা-আনন্দে তাই কৃষকরাও। ধান কেটে মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক।

অন্য খবর  চলাচলের অনুপযোগী মইতপাড়া-মুকসুদপুর সড়ক

দোহার উপজেলার দক্ষিন জয়পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আলি বলেন নিউজ৩৯ কে এবার ৭ বিঘা জমিতে  ধান চাষ করেছেন ফলনও ভালো ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি ৩ একর জমির ধান ঘরে তুলেছেন।

কৃষক মোঃ আলি বলেন বাকি ধান কেটে ঘরে তুলতে চিন্তায় আছি। ঝড়-তুফান হলে উপায় নাই, ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে কাজ করছি।

ধান কাটা শুরু হয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জে

আর এরি মাঝে দোহার-নবাবগঞ্জে ঘোরার গাড়ি ধান টানার জন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে। দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ এর কৃষক দেরকে ধান কাটার মজুরি কথা জিঙ্গাসা করলে বলে যে আমারা খেত থেকে ধান কেটে রাস্তায় পর্যন্ত পৌছে দিলে মালিক পক্ষ ১ মন ধান পেলে সেখান থেকে আমাদের ১৫ কেজি ধান দেয় আর আমাদের সকালের খাবার ও দুপুরবেলার খাবার এবং বিকাল বেলার খাবার মালিক পক্ষ দিয়ে থাকে .। সাধারনত দুপুরবেলার আমাদের ভাত, ডাল ও ভাঝি, আলুর ভর্তা দিয়ে থাকে। এ ধান কাটা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে  তখন তারা নিউজ ৩৯ কে বলে বৃষ্টিতে জন্য ধান তলিয়া যাওয়াতে ধান কাটতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন