দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

634
দোহার

৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে। বাস্তবে ২০ শয্যার জনবলও নেই হাসপাতালটিতে। ১৮ জন চিকিত্সকের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৫ জন। রোগীদের অভিযোগ: যে স্বল্পসংখ্যক চিকিত্সক আছেন তারাও বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চিকিত্সা দিতে।

চিকিত্সকরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মিতভাবে এলেও দ্রুত কর্মস্থল থেকে চলে যান। এ অবস্থায় রোগীরা হাসপাতালে এসেও চিকিত্সাসেবা পাচ্ছে না।

বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে চিকিত্সাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশুদ্ধ পানির অভাবে বাইরে থেকে মিনারেল ওয়াটার কিনে  খাবার পানির প্রয়োজন মেটাতে হয়। হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন থাকলেও তা বিকল হয়ে আছে। কোন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হয় না এই হাসপাতালে এমনটাই জানালেন এখানে চিকিত্সাসেবা নিতে আসা রোগীরা।

মো. সোহেল রানা নামে এক রোগী জানান, তার পেটে ব্যথা হলে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা নিতে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে কিছু টেস্ট করার কথা বলে প্রাইভেট ক্লিনিকে রেফার্ড করে এবং সেখানে পরীক্ষা করে তিন হাজার টাকা বিল করে। এভাবেই গরীব ও দরিদ্র মানুষগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স থেকে চিকিত্সার নামে প্রতারিত হচ্ছেন।

অন্য খবর  কেরানীগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আরও বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এমআই রুমেল বলেন, ছোট ছোট কাটাছেঁড়া, জ্বর-সর্দি, ঠাণ্ডা রোগের চিকিত্সা দেয়া হয়। সিজারিয়ান ও বড় ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেশিয়ার চিকিত্সা না থাকায় এই বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিমউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে তীব্র ডাক্তার সংকট। তাই ভর্তি রোগীদের চিকিত্সা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অল্প কয়েকজন চিকিত্সকের পক্ষে এত রোগীর চিকিত্সা দেয়া সম্ভব নয়।

আপনার মতামত দিন