দোহার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর এখন মাদকসেবীদের আড্ডাখানা

600
দোহার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর এখন মাদকসেবীদের আড্ডাখানা

অযত্ন অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, ঢাকার দোহার উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের, লক্ষ্মীপ্রসাদ গ্রামে অবস্থিত পোদ্দার বাড়িখ্যাত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘরটি। স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়ে বলেছে, সংস্কারের অভাবে জাদুঘরটি ধীরে ধীরে রুপ নিচ্ছে মাদকসেবীদের আখড়ায়। এখানে প্রদিদিন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করছে মাদকসেবীরা৷

খোঁজ নিয়ে জানা যায় , স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটির জমি প্রায় ৫২ শতাংশ। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ইশরাশী গ্রামের মৃত আনোয়ার খান মেম্বার এই বাড়িটি লিজ নেন। দীর্ঘদিন তিনি বাড়িটি ভোগ দখল করেন। পরে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করলে দোহার উপজেলার তৎকালিন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন লিজ বাতিল করে ভবন ও জমি দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করেন ও তাদের দলিলপত্র বুঝিয়ে দেন।

২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দোহার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বাড়িটি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর করার ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী অখিল পোদ্দারের বাড়িটি বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘরের নিজস্ব সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত।

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় এই বাড়িটি দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন। সমাজের বিত্তশালীরা কেউ এগিয়ে আসলেই স্বপ্ন ব্যস্থবায়ন হতে পারে। গড়ে উঠতে পাড়ে একটি দর্শনীয় মুক্তিযোদ্ধাদের যাদুঘর। যা আগামী প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালবাসা ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে সাহায্য করবে। এমটাই প্রত্যাশা দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ভবন সংস্কারের জন্য টাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো। সেই টাকার কী অবস্থা এখন জানি না।

অন্য খবর  দোহার গ্রীন আর্মির প্রেস বিজ্ঞপ্তি

জাদুঘরটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে নিউজ৩৯ কথা বলে দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব মোল্লার সাথে। তিনি বলেন, দোহারের পরিত্যক্ত এই পোদ্দার বাড়িটিতে ১৯৭১ সালে দোহার এবং নবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি (ক্যাম্প) ছিল। স্বাধীনতার পর বাড়িটিকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

দোহার থানা ওসি(তদন্ত) মো, আরাফাত হোসেন বলেন, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান করে আসছে। মাদকসেবন,বহন ও মৌজুদকরা অপরাধ। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘরটিতে প্রবেশ করে কেউ মাদক গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন