চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনী আসন হিসাবে আবারও ঢাকা-১ আসন হওয়ায় দোহার বিএনপি’তে চলছে চরম অরাজকতা ও বিশৃংখলা। অনেকে একে বলছেন ‘গণধোলাইয়ের মাধ্যমে শুদ্ধি অভিযান’ আবার কেউবা একে বলছেন, ‘সুবিধাবাদীদের সনাক্তকরণ পর্ব।‘ আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদার বিএনপি’তে ফিরে আসার গুজব। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক গুজব আছে ব্যাঃ নাজমুল হুদা সুবিধাজনক সময়ে বিশেষতঃ এপ্রিল মাসে আবারও বিএনপি’তে ফিরে আসছেন। আর এর ফলে, এতোদিন যারা নাজমুল হুদাকে ছেড়ে বিএনপি’র রাজনীতি করেছেন অথবা ঢাকা জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি আঃ মান্নানের সাথে রাজনীতি করেছেন বা জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দীন মোল্লার পক্ষে রাজনীতি করেছেন তারা আজকাল শাইনপুকুরে নাজমুল হুদার বাসায় যাতায়াত শুরু করায়; ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন নাজমুল হুদার অনুসারীরা।
তাই গত ৪ই ফেব্রুয়ারি যুবদল সভাপতি উমায়ুনি ইসলাম খালেদকে ডালু খন্দকারের বাড়ীতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে লাথি, ঘুষিসহ বেদম পেটানো হয়। এ সময় নাজমুল হুদা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তার হস্তক্ষেপে খালেদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে ৮ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার যুবদল নেতা কবিরসহ আরও কয়েকজনকে শাইন পুকুরে নাজমুল হুদার নিজ বাড়ীতে বেদম মার দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই আরও ৩/৪ গণধোলাইয়ের শিকার হন।
এ ব্যাপারে জাসাসের কেন্দ্রীয় এক নেতা নাম না প্রকাশ শর্তে নিউজ৩৯ কে জানান, যারা সুবিধাবাদী তাদেরকে বিএনপি’র নেতা কর্মীরা সুযোগ বুঝে একটু আদর-আপ্যায়ন করেছে তাদের অতীত কর্মকে মনে করিয়ে দিতে। আর এটা হচ্ছে ধোলাইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান’। আশা করছি, এরকম আর ঘটবে না।
আর এ অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছে অনেক নেতা কর্মী। এ ব্যাপারে দলীয় কেউই মুখ খুলতে রাজী হননি।