টাকা লেনদেনের বিতর্কে দোহার পৌরসভা বিএনপি’র নতুন কমিটিঃ কেন্দ্রে অভিযোগ

867

দোহার পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠিত হলেও শুরুতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। টাকার বিনিময়ে কমিটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দোহার পৌরসভা বিএনপির পদবঞ্চিত এক নেতা। এছাড়া এখানে বিএনপি থেকে পদত্যাগী এক প্রভাবশালী নেতার প্রভাবে এই কমিটি গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ

কমিটি নিয়ে দোহার পৌরসভা বিএনপি ও দোহার উপজেলা বিএনপির মাঝে টানাপোড়ন ছিল সব সময়। ফলে কমিটি হয়েও হচ্ছিলো না। কিন্তু সব বিতর্ক উর্ধে রেখে হটাৎ করেই দোহার পৌরসভার বিতর্কিত মেয়র ও পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম মিয়ার বাড়িতে গঠিত হয় দোহার পৌরসভা বিএনপির কমিটি। নতুন কমিটিতে দোহার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও তৃনমুল বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল হুদা পন্থি বলে পরিচিত মোহাম্মদ আলী কমিশনার। নাজমুল হুদা পন্থী একজন লোক দোহার পৌরসভা বিএনপির নেতৃত্ত্ব আসায় দোহার উপজেলা বিএনপির ত্যাগী নেতৃত্ত্বের মাঝে দেখা দিয়েছে দল ভাঙ্গার হতাশা। তাছাড়া অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের  কথাও উঠছে এই কমিটিকে কেন্দ্র করে।

দোহার পৌরসভার এই কমিটি নিয়ে বিতর্কিত হয়ে সংবাদ শিরোনামে চলে আসছেন দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, দোহার পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম  মিয়া ও দোহার উপজেলা তৃণমূল বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যানের নাম।

অন্য খবর  দোহারে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২১ পালন

শোনা যায়, উপজেলা কমিটি ও পৌরসভা কমিটি মান ও পদ দিক দিয়ে সমান হলেও; উপজেলা বিএনপি সভাপতি কমিটিতে হস্তক্ষেপ করেছেন নিজের পছন্দের প্রার্থীর ব্যাপারে। দলের চাইতে ব্যক্তির স্বার্থ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে ঢাকা জেলা কমিটির কাছে অভিযোগও করেছেন পৌরসভার নেতৃবৃন্দ।

এরপর নব নির্বাচিত দোহার পৌরসভার কমিটি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন দোহার পৌরসভা বিএনপির নেতা ও ৯০ এর গণ আন্দোলনের ছাত্রনেতা আঊয়াল আকন্দ। তিনি পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।

আব্দুল আওয়াল আকন্দ  নিউজ৩৯কে কমিটি সম্পর্কে বলেন, কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দোহার পৌরসভার কমিটি গঠন করেছেন দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, দোহার পৌরসভার বিতর্কিত মেয়র আব্দুর রহিম মিয়া ও  নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান(সাবেক)।  সভাপতি পদে দেড় লক্ষ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। প্রতি কাউন্সিলরকে জোর করে ও পদ কেড়ে নেয়ার ভয় দেখিয়ে কথিত হাত খরচ হিসাবে চৌদ্দ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। আর পৌর কমিটিতে তাতী সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি তাঁতী অধ্যুসিত এই পৌরসভায়।

অন্য খবর  কে এম আল আমিনকে আনারকলি পুতুলের বিদায় শুভেচ্ছা

তিনি আরও বলেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে একজন সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান, তিনি আবার নাজমূল হুদা পন্থী । একমাত্র নির্বাচনের সময় তাকে এলাকায় দেখা যায়। কোন আন্দোলন-সংগ্রাম বা দলীয় কোন কর্মসূচীতে তাকে দেখা যায় না, এই টাকা লেনদেনে সে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল বিএনপি’র সভাপতি ব্যাঃ নাজমুল হুদা’র পন্থীদের প্রভাবে এই কমিটি গঠিত হয়েছে; যেখানে জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মান্নান পন্থীরা বিজয়ী হতে পারেননি। তৃণমূল বিএনপি’র মোড়কে আসলে জেলা বিএনপি’কে দেয়া হয়েছে এই কমিটি। ইতিমধ্যে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, নির্বাহি কমিটির সদস্য আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদকের নিকট এ ব্যাপারে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

আপনার মতামত দিন