দোহার পৌরসভা নামেই প্রথম শ্রেণীর!

259

ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া রাইপাড়া ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের আংশিক অংশ নিয়ে ২০০০ সালে গঠিত হয় দোহার পৌরসভা। সে বছর ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিল পৌরবাসী। গত ১৪ বছর পূর্বে নিবার্চন অনুষ্ঠিত হলেও এরই মাঝে কেটে গেছে এক যুগেরও অধিকাল। এলাকাবাসী আধুনিক যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবে বলে আশা করেছিল তার কিছুই পাচ্ছে না। সীমানা জটিলতা ও নামকরণ নিয়ে আদালতে মামলা ঝুলে থাকায় আর কোনো নির্বাচনও হয়নি। এরই মধ্যে পৌরসভাটি ১ম শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে।

পৌর বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর এলাকার রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে আর গর্তে ভরা। নেই প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, সুপেয় পানির সরবরাহ ব্যবস্থায়, ট্রাফিক, পরিচ্ছন্ন কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী। ডোবা নালায় পঁচা পানিতে মশা মাছির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় শুধু করের বোঝা বহন করছে পৌরবাসী। সড়ক বাতি থাকলেও  তা নিন্মমানের।

দোহার পৌরসভার ২০১৪/১৫ অর্থ বছরের বাজেটে ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেট পেশ  করেন মেয়র আব্দুর রহিম মিয়া। বাজেটে নিজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার অধিক। উন্নয়ন খাতে আয়ের লক্ষ্য ২৬ কোটি ৩১ লাখের অধিক এবং ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৯২ লাখের অধিক।

অন্য খবর  ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু

দোহারের বাসিন্দা সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হ.আ.ম ওয়াদুদ  বলেন, পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা না পেলেও করের বোঝা বহন থেকে মুক্তি নেই নাগরিকদের।

জয়পাড়ার ছালমা বেগম বলেন, পৌরসভা এলাকায় থাকি এটা মনেই হয় না। শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।

পৌর এলাকার বাসিন্দা শ্রমিক হারেস বলেন,  ১৪/১৫ বছর আগে একবার ভোট দিয়েছি আর কেউ ভোট নিতে আসলো না। মশা-মাছির জ্বালায় ঘরে থাকা যায় না। কিসের পুরসভা। কোন রকমে থাকি আরকি।

এব্যাপারে দোহার পৌর মেয়র আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, কিছু সমস্যা  আছে  দ্রুত রাস্তাঘাটসহ নাগরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন