দোহার পৌরসভায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া

210
দোহার পৌরসভায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া

ঢাকার দোহার উপজেলার ২২ বছর পরে পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীদের প্রতীকে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পাড়া-মহল্লায় চলছে প্রার্থীদের এবং তাদের প্রতীক নিয়ে আলোচনা। ঈদের পর দিন থেকেই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে মেয়র, কাউন্সিল ও মহিলা কাউন্সিলরা প্রার্থীরা। প্রচার প্রচারণা তালিকায় রয়েছে মাইকিং, উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া। এই ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে মহিলাদেরকে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে তারা বিভিন্ন গ্রুপ ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছে প্রার্থীদের জন্য সেই সাথে দেওয়াও হচ্ছে চকলেট ও সিগারেট।

দীর্ঘ ২২ বছর পর দোহার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ জুলাই। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ার এবার মেয়র পদে ৮ জন লড়বে এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলের লোকই বয়েছে ৬ জন। বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন হাত পাখার হয়ে মেয়র পদে লড়বেন আমজাদ হোসেন এবং বিএনপির সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদার পছন্দের প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম লড়বে ইস্রি মার্কা নিয়ে। এছাড়া দোহার পৌরসভার কাউন্সিল পদে ৬১ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১২ জন প্রার্থী লড়বে পৌরসভার নির্বাচনে।

অন্য খবর  ঘুষ গ্রহণ মামলার পুনঃশুনানি চলবে : নাজমুল হুদার রিট খারিজ

পৌর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও থেমে নেই। তেমনি পৌর নির্বাচনের প্রার্থীরা নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন ভোটর দের কাছে। ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন খান রাজিব বলছেন, আমি কাউন্সিল হলে ১০০ শতাংশ বয়স ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করব। যুবসমাজকে ধ্বংস করছে মাদক, আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করবো ইনশা আল্লাহ।’ এভাবে পৌর নির্বাচনের প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে।

অন্য দিকে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ সেলিম বলেন, মানুষের চাওয়া অল্প কিছু বেশী চাওয়া না, মানুষ চায় তাদের জন্য যে, সরকারি বরাদ্দ থাকে সেগুলো সঠিক ভাবে বন্টনের। আর আমি নির্বাচীত হলে বয়স্ক ভাতা, ভিজিএফের চাউল, সরকারি ত্রাণ, নাগরিক সনদ ইত্যাদি সঠিক ভাবে বন্টন করবো।

৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রাজিব শরীফ জানান, গতকাল সোমবার ঢাকা-১ আসনের সংসদ সালমান এফ রহমান আমাদেরকে ডাকছিলেন তিনি আমাদেরকে বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনী কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও থাকবে।

দোহার পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোঃ আলমাছ তার ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বলেন, পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা রয়েছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সমস্যা রয়েছে। আমি বিগত বাইশ বছর দোহার পৌরসভার কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছি সেই স্থান থেকে আমি যতটুকু পেরেছি কাজ করেছি। আমি আশা করি পৌর মেয়ের হতে পারলে আরো বেশি উন্নয়ন করতে পারবো পৌর বাসির জন্য। তাই আপনারা আমাকে জগ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’

অন্য খবর  দোহারে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর চেষ্টা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন

তবে আওয়ামী লীগের অন্য অন্য প্রার্থী থাকলেও বেশির ভাগ নেতা কর্মীকেই মেয়ের প্রার্থী আলমাছের হয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচন সম্পর্কে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ব্যক্তি হিসেবে যে কেউকে আমার পছন্দ হতে পারে। তবে দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচনে যারা অংশ গ্রহণ করেছে তারা সবাই আমার প্রার্থী।

দোহার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দিন পর পৌরসভার নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মাঝে ভোটের আনন্দ ফিরে এসেছে। আগামী ২৭ জুলাই পৌর নির্বাচন ইভিএম এ হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

আপনার মতামত দিন