দোহার পৌরসভায় পদোন্নতি না পেয়েও নির্বাহী প্রকৌশলী

1017
দোহার পৌরসভা লোগো

দোহার পৌরসভার “নির্বাহী প্রকৌশলী” মশিউর রহমানের ভেতরের কাহিনী বের হয়ে আসছে দ্রুত। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া উপসহকারী প্রকৌশলী মশিউর রহমান কিভাবে পদোন্নতি না পেয়েও দোহার পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে নিয়োগ পেলেন তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। 

দুর্নীতি ও জালিয়াতিকে হাতিয়ার করে আজ তিনি বসে রয়েছেন দোহার পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী হয়ে। শুধু তিনি নন, তার মতো আরো কয়েকজন দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় আসীন হয়েছেন দুর্নীতি ও জালিয়াতিকে হাতিয়ার করে। কিন্তু এই জালিয়াতি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় নরে বসেছে স্থানীয় সরকার প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে অতি দ্রুত। 

মশিউর রহমান চাকরি শুরু করেছিলেন কার্যসহকারী, নকশাকার বা সার্ভেয়ার হিসাবে। যার নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এস এস সি, এইচ এস সি বা ডিপ্লোমাধারী। কিন্তু অনিয়ম ও জালিয়াতিকে পুজি করে তিনি আজ দোহার পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী।

যেখানে দায়িত্বে থাকবেন একজন বিসিএস প্রকৌশলী, সেখানে এক ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী প্রকৌশলী বসে থাকার কারণে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পাচ্ছে না কোন গতি। এই ব্যাপারে উঠে এসেছে এই প্রকৌশলী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, অতীতে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দিতেন মূলত পৌরসভার মেয়ররা। ফলে দুর্নীতির মাধ্যমেই তিনি দোহার পৌরসভায় নিয়োগ পেয়েছেন বলে বলা যায়। 

অন্য খবর  দোহার পৌরবাসী ভোটাধিকার ফিরে পাবে কবে?

তার এই তথ্য নির্দেশ করে দোহার পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুর রহিম মিয়াকেই। তার আমলেই নিয়োগ পেয়েছেন বর্তমান “নির্বাহী প্রকৌশলী” মশিউর রহমান। ফলে প্রকৌশলী নিয়োগের দুর্নীতির আঙ্গুল মেয়র রহিম চেয়ারম্যানের দিকেই তুলছে সবাই। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এই সব নিয়োগে বিসিএস প্রকৌশলীদের আগ্রাধীকার দেয়া হচ্ছে। আর পদোন্নতিও ঢালাও ভাবে দেয়া হচ্ছে না। আর মশিউর রহমানের এই অনিয়মের এই ঘটনাটি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার বিভাগের কারন দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, তাকে চুক্তিভিত্তিক ভাবে শাহজাদপুরে নিয়োগ দেয়া হলেও তাকে অস্থায়ী ভাবে দোহার পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয় অথচ শাহজাদপুর পৌরসভা থেকে ১৯৯১ সালের ২৮ মে পাঠানো স্থানীয় সরকার বিভাগে পত্র পাঠানো হলে তা অনুমোদিত হয় নি। তারপরও তিনি পদোন্নতি হাসিল করেছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তার চাকরির নিয়োগ ও পদোন্নতি বিধিসম্মত হয় নি ফলে তা অবৈধ প্রমানিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তেও ঊঠে এসেছে এই অনিয়ম। 

কিন্তু নিউজ৩৯ এর কাছে মশিউর রহমান দাবী করেন, তার নিয়োগ ও পদোন্নতিতে কোন অনিয়ম ও জালিয়াতি হয় নি।  

আপনার মতামত দিন