দোহার-নবাবগঞ্জ মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই: এ্যাড সালমা ইসলাম

343

“ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এলাকার উন্নয়নের জন্যই জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাদের কাছে আমি ঋণী। এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব কিছুই উন্নয়ন করতে চাই। এজন্য উপজেলা প্রশাসন, চেয়ারম্যানগন, সাংবাদিক, সব শ্রেণী-পেশাসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।” দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ঢাকা-১ আসন (দোহার-নবাবগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর রোববার প্রথম পৃথকভাবে দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা, প্রশাসন, চেয়ারম্যান ও সাংবাদিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “দলীয় ভেদাভেদ ভুলে এলাকার জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করলে উন্নয়ন হবেই ইনশাআল্লাহ। দোহার-নবাবগঞ্জে গ্যাস সংযোগ দেয়ার সার্বিক উদ্যোগের প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিলে শুধু রান্নার সুযোগ-সুবিধাই হবে না, এলাকায় শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতে এলাকার বেকারত্ব দূর হবে।”

দোহার-নবাবগঞ্জকে যে কোনো মূল্যে সন্ত্রাসমুক্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার এলাকায় সন্ত্রাসের কোনো ঠাঁই নেই। এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠায় যা যা করণীয় তাই করা হবে। সন্ত্রাসমুক্ত করতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।”

অন্য খবর  ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক: খানাখন্দ, যানবাহন চলাচল ব্যাহত

বিকাল ৩টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অয়োজিত উপজেলা অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, ঢাকা-১ আসন দোহার-নবাবগঞ্জ এলাকার উন্নয়ন ও সন্ত্রাসমুক্ত করাই আমার স্বপ্ন। উপজেলার সব দফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, উন্নয়নের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আপনাদের সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আপনারা যে যেই সেক্টরে আছেন, সেই সেক্টরের উন্নয়নের ধারাবাহিতা নিয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে বসতে চাই এবং সব কাজে সহযোগিতা করতে চাই।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেখানে উপজেলার সব দফতরের কর্মকর্তা, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. সায়েদুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও উপজেলা এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের নিজ নিজ এলাকার চিত্র তুলে ধরেন।

পুলিশকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্যসহ সব অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আরও তৎপর হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি কোনো অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেব না। থানায় যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হন। কোনো অপরাধী যেন ছাড় না পায়। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসাসহ সব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কোনো দলীয় লোকজন কোনোভাবেই থানায় যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। দলীয় লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চাইলে আশ্রয় দেবেন না এবং প্রয়োজনে আমাকে ফোন করবেন। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। সমাজকে যেন কোনোভাবেই অপরাধীরা কলুষিত করতে না পারে। মনে রাখতে হবে পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশের ধর্ম জনগণের সেবা করা।”

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের এলাকার চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার, দোহার-নবাবগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মানবেন্দ্র দত্ত, মো. তৈয়ব আহম্মেদ, আবেদ হোসেন, আলীমোর রহমান খান পিয়ারাসহ ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।

আপনার মতামত দিন