দোহার-নবাবগঞ্জ আসন সীমানা পুনর্বিন্যাস অভিযোগ-আপত্তির শুনানি ২৫শে এপ্রিল। উল্লেখ্য নবাবগঞ্জের সাবেক এমপি হারুনুর অর রশিদ এবং গ্রাজ্যুয়েট এসোসিয়েশন অব দোহারের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী গত ৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ঢাকা – ০১ সংসদীয় আসন পূণার্বিন্যাস শিরোনামে আবেদন করেছেন। ডাইরী নং – ১৭২৬।
আর সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের খসড়ার ওপর অভিযোগ-আপত্তির শুনানি আগামী ২১শে এপ্রিল থেকে ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। গতকাল নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। সচিব জানান, ৩০০ আসনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন যে ৪০টি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছিল সেগুলোর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ৪০টি আসন ছাড়াও আরো ২০টি আসনে পরিবর্তনের জন্য আবেদন ইসির কাছে এসেছে। খসড়ার ওপর অভিযোগ জানিয়ে ৪০৭টি আবেদন এসেছে।
অপরদিকে খসড়ার পক্ষে ২২৪টি আবেদন এসেছে। মোট ৬০টি আসনের বিপরীতে সর্বসাকুল্যে ৬৩১টি আবেদন এসেছে। ইসির খসড়া তালিকায় থাকা ৪০টি আসনের ওপর মূলত শুনানি হবে। বাকিগুলোর ওপর শুনানি হলেও তার সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। হেলালুদ্দীন আহমেদ জানান, ২১শে এপ্রিল থেকে সীমানা পুনর্বিন্যাসের খসড়ার ওপর অভিযোগ-আপত্তির শুনানি শুরু হবে। ওই দিন রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের আসনগুলোর ওপর শুনানি হবে। ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের আসনের ওপর শুনানি হবে ২৩শে এপ্রিল। ২৪শে এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামের আসনগুলোর ওপর শুনানি হবে। ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর জেলাতে আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হবে ২৫শে এপ্রিল। এরপর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে। যার ভিত্তিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের সকল কাজ শেষ হবে। কমিশন সভায় সীমানা পুনর্বিন্যাস ছাড়াও আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান ইসি সচিব। সচিব বলেন, আইন ও বিধি সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আরপিও সংশোধনের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলোর ওপর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিশন সভা মুলতবি করা হয়েছে। আগামী ১২ই এপ্রিল এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, আরপিওতে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়েছে। আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা হয়নি। ১২ই এপ্রিল যে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে আলোচনা হতে পারে।