দোহার-নবাবগঞ্জে ২৩ গ্রেফতার: যান চলাচল বন্ধ

260

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে সন্দেহজনক ২৩ জনকে আটক করেছে ২ থানা পুলিশ।
অন্যদিকে, দোহার থানা পুলিশ জানায়, গত রাতে অভিযান চালিয়ে তারা ৮ জনকে আটক করেছে।
দোহার থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা বিভিন্ন মামলার আসামি। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে থানার এক কর্মকর্তা জানান, উপরের নির্দেশে আমাদের এই অভিযান।
এরা হলেন শেখ শাওন (৩৩), আমীর হামজা (২৮), সিরাজুল ইসলাম (২৫) ও আবুল কাশেম (৩২), বাঁশতলার রানা(২৮), কামাল(৩০), ধোয়াইর ঘাটের শামসু মেম্বার(৫০), সুতার পারার মশাররফ।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গভীর রাতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে। মাদক ব্যবসাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে এমন সন্দেহে এদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- রাহাত খন্দকার (৪২), ইস্রাফিল (২৫), সেন্টু (৩৫), মোশাররফ ভুঁইয়া (৪৫), সাত্তার (৪০), সাজ্জাত (৩৫), আলমগীর (২২), বায়জিদ (২৮), সোহেল (২০), খগেন (৪০), শংকর (৩৮), দীন ইসলাম (৩৫) ও লিয়াকত (২৫) ।
নবাবগঞ্জ থানার জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ওই দু’টি উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কে রোববার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।রবিবার সকাল থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে দোহারের বাস মালিক সমিতি। ১২ মার্চ বিএনপির ঢাকা চল কর্ম সুচি সামনে রাখে এই পরিবহন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যদিও নগরের বাস স্ট্যান্ড বাহ্রাঘাটে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ টা বাস আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস শ্রমিক জানান প্রশাসনের চাপের কারণে তারা বাস বন্ধ রেখেছে। ইতি মধ্যে পুলিশ দোহার শ্রীনগর রুটের সমস্ত বাস বন্ধ করে দিয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা জানান এই রুটে কোন যানবাহনকে বিশ্ব রোডে উঠতে দিচ্ছে না। ফলে দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানিগঞ্জে চলছে অলিখিত পরিবহন ছুটি।
অপরদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার-দোহার-নবাবগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। ঢাকার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রধান সড়কে এসে গাড়ি না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি নিয়ে ঢাকায় গেছেন।
ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা যাত্রীরা জানান, ঢাকায় তার জরুরি কাজ ছিল, গাড়ি না পাওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায় যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই বলে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

আপনার মতামত দিন