ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের বিপাকে পড়েছে দুই উপজেলা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা কৃষক,ব্যবসায় এবং বিশ্বকাপ দেখা দর্শকরাও বাদ পড়েনি লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে। গরম তেমনটা না থাকলেও দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের কারণে রিতিমত হিমশিম খাচ্ছে এই দু’ উপজেলার মানুষেরা ২৪ ঘন্টায় মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘন্টাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে এই দু’ উপজেলার মানুষের।
চরম বিপাকে পড়েছে এসএসসি পরিক্ষার্থী, কৃষক,ব্যবসায় এবং বিশ্বকাপ দেখা দর্শকরাও। নবাবগঞ্জ উপজেলার মহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এস,এস,সি পরিক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, পড়ার সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না সকাল ৬ টার সময় যায় আসে ১০ টার দিকে আবার বিকেলে ৩ টার দিকে যায় আসে ৫ টার দিকে আধা ঘন্টা থেকে সন্ধায় যে যায় পূনরায় আবার রাত ৯ টা বা তারো পরে আসে। যে সময় টুকু আমরা পড়া লেখা করবো যে সময়ইে বিদ্যুৎ থাকেনা ।
দোহারের এস,এস,সি পরীক্ষার্থী মো. সোহেল রানা জানান, কিছু দিন আগে বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশে এখন আর লোডশেডিং নেই । তাহলে আমরা দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘন্টা কেন বিদ্যুৎ পাচ্ছি না ? তাহলে লোডশেডিংয়ের কারণে কেন আমাদের লেখা-পড়ার ক্ষতি হচ্ছে ।
ব্যবসায়ী মো. রিপন বলেন ,দেশের বর্তমান অবস্থা এমনিতিই ভাল নয় ব্যবসা বাণিজ্য খারাপ তার উপরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায় খুব ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষক মো. শহর আলী বলেন, ইরি মৌসুম আসলেই শুরু হয় বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা। বিদ্যুতের অভাবে পানি দিতে পারছি না ইরি ক্ষেত্রে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. পলাশ আহ্মেদ বলেন, বিশ্বকাপে থেলা শুরু হলেই লোডশেডিংয়ে এরকম বিরক্ত করে। এ-ব্যাপারে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার রবিউল হোসেন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, মাঝে মধ্যে একটু লোডশেডিং হয় তাও আবার ঢাকা থেকে।