দোহার নবাবগঞ্জে মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন

280

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই দেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসারে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ইসলাম ধর্মের সঠিক চর্চা ও এর মূল্যবোধ অনুধাবনের জন্যই মডেল মসজিদগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আলেম-ওলামারা মানবতার কান্ডারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন– এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করে জীবন কেড়ে নেয়। এখান থেকে মানুষকে বিরত রাখার সব উদ্যোগ নিতে হবে আপনাদের। মাদক ও বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও এসব ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে ব্যয় হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। এ নিয়ে সারাদেশে মোট ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন সরকারপ্রধান। এর মধ্যে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মসজিদও রয়েছে। দোহারে মডেল মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান বটিয়া গ্রামের মৃত
মোহাম্মদ খানের ছেলে মো: ফিরোজ খান।

অন্য খবর  কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে নবাবগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ৩০ জন

এর আগে প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ৫০টি ছাড়াও চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ৫০টি এবং সর্বশেষ তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। সবমিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫৬৪টির মধ্যে ২০০ মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় স্থাপন করতে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে গ্রহণ করে সরকার। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে বলেও জানা গিয়েছে।

আপনার মতামত দিন