দোহার-নবাবগঞ্জে ব্যস্ত ধুনকররা

581

আসিফ শেখ♦ দোহার-নবাবগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ধুনকরদের কাজের ব্যস্ততায় চোখে ঘুম নেই। রাতের বেলায় পড়তে শুরু করেছে কুয়াশা ও হিম বাতাস জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী সংকেত। পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল হলেও অগ্রহায়ণের শুরুতেই দিনের শেষ ভাগে এসে শীত অনুভব হতে থাকে। শেষ রাতে চারদিক দিকে কুয়াশায় ঢাকা থাকে সমগ্র এলাকা। হালকা শীত অনুভব হলেও এ সময়টা বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক।

এদিকে শীতের আগমনী বার্তা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ধুনকরদের ব্যস্ততা। দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার হাটবাজারে ধুনকারদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে নবাবগঞ্জের বাগমারা বাজার, পাড়াগ্রাম, শিকারীপাড়া, আগলা, শোল্লা, দাউদপুর, হাগ্রাদি, বারুয়খালী, দোহারের জয়পাড়া বাজার, মেঘুলা, কার্তিকপুর, পালামগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ধুনকাররা শীতের লেপ, তোষক, জাজিম, বালিশসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করতে দোকানে সাজিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতের সরঞ্জাম তৈরির দোকান গুলোতে মহাধুমধাম ও ব্যস্ততায় রয়েছে ধুনকররা। তুলা সংগ্রহ, তুলা পরিষ্কার, তুলা পেটানোর কাজগুলোতে প্রতিনিয়ত উৎসবমুখর পরিবেশ। নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর বাজারের ধুনকর হারুন মিয়া জানান, বিক্রি ভালই হচ্ছে তবে সামনে আরো বিক্রি বাড়বে। হরতাল, অবরোধের জন্য আমরা ঢাকা থেকে মাল আনতে পারতেছি না এ জন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলা হাগ্রাদি বাজারের ধুনকর মো.ফিরোজ জানায়, শীতের শুরুর এসময়টা বছরের অন্য সময়ের চেয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। গত বারের তুলনায় এ বছর লেপ, তোষকের দাম একটু বেশি।

অন্য খবর  নয়াবাড়ি-কুসুমহাটিতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ

সিংগাল ৩-৫ হাত একটি লেপের মূল্যে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ডাবল ৩-৫ হাত একটি লেপের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। তবে তুলা ও সেলাইয়ের নমুনার ওপর ভিত্তি করে লেপের দরদাম নির্ধারণ হয়ে থাকে।

বেশির ভাগ ত্রেতা রেডিমেড লেপ কেনার চেয়ে অর্ডার দিতেই বেশি উৎসাহ বোধ করে। বর্তমানে দুই ধরনের তুলার কাজে বেশি চাহিদা।

সাদা সুপার তুলা প্রতি কেজি ১২০ টাকা। আর কালো তুলা প্রতি কেজি তুলা ৫০ টাকা, হুইল ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেন তারা। একজন লোক ব্যবহার করতে পারে এমন সাইজের একটি লেপ তৈরি করতে তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি তুলা প্রয়োজন। আর দুজন বা ততোধিক লোকের বেশি ব্যবহার্য লেপের জন্য সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ কেজি তুলা প্রয়োজন হয়। সারাদিনে তোষকের চেয়ে লেপ তৈরির অর্ডার বেশি আসে।

এদিকে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য কম মূল্যের লেপ তৈরিতে চাহিদা একটু বেশি। আর এ জন্যই দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক তৈরির দোকান গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

আপনার মতামত দিন