ঢাকা জেলা পুলিশ ৫০ সদস্যের এক সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সন্ধান পেয়েছে। ইতিমধ্যে ডাকাত দলের ১৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এই সংঘবদ্ধ ডাকাতদলটি দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, শ্রীনগর, সিরাজদিখান এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। আজ (১৪ জুন) দুপুরে সাভার মডেল থানা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
তিনি বলেন, “গত ২৩ মে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার মাঝিরকান্দা এলাকায় ডাকাতদের কবলে পড়ে দুই ব্যক্তি নিহতের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে দুই ডাকাতকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের গ্রুপে ৫০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে।”
পুলিশ সুপার বলেন, “তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তিনজন দলনেতার মাধ্যমে ডাকাত দল বিগত ছয়-সাত বছর ধরে ঢাকা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন মহাসড়ক এবং বাসাবাড়িতে ডাকাতি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলো। এছাড়াও, এ গ্রুপটি হত্যা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গেও জড়িত ছিলো।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৮ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে এক ব্যক্তির নিকট থেকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলো এই চক্রটি।”
ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ডাকাত দলের ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তিন দলনেতার মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, গত ৮ মে নবাবগঞ্জের মাঝিরকান্দা এলাকায় সাইফুল গ্রুপের প্রধান সাইফুল আলম শেখ (৪৫) পুলিশের সঙ্গে বন্ধু যুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়াও, গত ১০ জুন আশুলিয়ার দুই ডাকাত দলের গুলি বিনিময়ে মোটা বাবুল গ্রুপের প্রধান বাবুল হাওলাদার (৪৫) মারা যান। এই দুইজন দশ থেকে বিশটি মামলার আসামি ছিলেন।