ঢাকা জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ। জ্বর, সর্দি, কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে এই দুই উপজেলায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানের রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। শিশুসহ সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এসব রোগে। অবশ্য চিকিৎসকরা মনে করেন এই ঠান্ডা জনিত রোগের অন্যতম কারন হছে সিজন চেঞ্জ। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় প্রতিবছরই এই ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। প্রতি বছরের মতো এই বারও এর প্রকোপ বেড়েছে।
কখনো প্রচণ্ড রোদ আবার কখনো বৃষ্টি। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের ফলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই দুই উপজেলার শতশত মানুষ। বিশেষ করে যাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্মে ঘরের বাইরে থাকতে হয় এমন শ্রেণী পেশার মানুষসহ শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। কোনো কোনো বাড়িতে পরিবারের সবাই জ্বরসহ সর্দি-কাশিতে ভুগছে।
প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত রোগীর স্বজনেরা। স্বাভাবিক সর্দি কাশি হলেও রোগগুলো করোনার উপসর্গ থাকায় বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করলেও করোনা পরীক্ষা করতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। কেউ এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত হলেও করোনা পরীক্ষা না করায় স্বাস্ব্য ঝুকি বাড়ছে। এক্ষেত্রে ওষুধ সেবনে চিকিৎসকরা একটু সতর্ক হওয়ার কথা বলতেও তা মানছেন না অনেকেই। আর আক্রান্ত রোগী করোনাভাইরাসের নমুনা দেয়ায় অনাগ্রহ থাকায় রোগীর স্বজনেরা এ ব্যাপারটিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে করেনা পরীক্ষা ছাড়াই ওষুধ সেবন করছেন।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করলেও অধিকাংশ রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করায় স্বাস্ব্য ঝুকি নিয়েই তা করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা হাসপাতাল রোডের কয়েকজন ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বললে তারা জানান, করোনার উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও করোনার পরীক্ষা ছাড়াই বেশিরভাগ রোগী সরাসরি ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেবল নাম বলেই ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্ব্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জসিম উদ্দিন জানান, করোনা উপসর্গ থাকলে কোনভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেনব করা ঠিক হবে না। অন্তত আমাদের হাসপাতালের টেলিমেডিসিন সেবা চালু রয়েছে। ওই নম্বরে কথা বলে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন যে কোন রোগী।