তারেক রাজীবঃ দোহার-নবাবগঞ্জ ও কেরাণীগঞ্জের এখনো গতবারের মতো পুরোপুরি জমে ওঠেনি কোরবানি পশুর হাট। মূলতঃ প্রবাসীদের অর্থনৈতিক সংকট-ই এ অবস্থার জন্য দায়ী। ভাগ দেয়ার দিকে অধিকাংশদের নজর। এদিকে পশু সরবরাহেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই পশু বিক্রি না হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। বিক্রেতারা পশুর চড়া দাম হাকছেন অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি—এখনো হাটে পর্যাপ্ত ক্রেতা আসেনি। উপজেলা তিনটির জয়পাড়া, মেঘুলা, ফুলতলা, বারুয়াখালী, কোমরগঞ্জ, জিনজিরা, আগানগর, হাসনাবাদ, দড়িগাঁওসহ বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
দোহারের ফুলতলা হাট ও জয়পাড়া হাটে গরুর সংখ্যা অপ্রতুল। সেই তুলনায় মেঘুলাতে পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। তবে দাম হাকাহাকির কোন নির্দিষ্টতা নেই। যার কাছে যেমন পারা যায়, সেভাবেই দাম আদায় হচ্ছে।
নবাবগঞ্জের সাদাপুর এলাকা থেকে দোহারের হাটে গরু কিনতে আসা কালাম বেপারী বলেন, গত বছর যে গরু ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। এ বছর ওই সাইজের গরুর দাম চাচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। বাজেট কম বলে তিন-চার ঘণ্টা ঘুরেও গরু কিনতে না পেরে বাড়ি চলে যাচ্ছি।
আগানগর গরুর হাটের গরু বিক্রেতা ঠান্ডু মোল্লা বলেন, এখনো হাটে ক্রেতা নামেনি, তাই বেচাকেনা কম। বেশিরভাগ লোক হাটে গরু দেখতে এসেছে। আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশী বলেন, ‘বিক্রেতারা গরুর দ্বিগুণ দাম চাচ্ছে। তাই হাটে বেচাকেনা কম।’
হাসনাবাদ হাটের হাছিল কাউন্টার ম্যানেজার আমিন বলেন, ‘হাটে পর্যাপ্ত গরু আছে। কিন্তু বেচা-কেনা কম। তবে আজ দিনে হবে।’
এদিকে দোহারের ফুলতলা ও জয়পাড়া হাটের ইজারাদাররা ইজারার টাকা উঠবে কি’না, তাই নিয়েই দুশ্চিন্তা তে আছেন।
নবাবগঞ্জের হাট ইজারাদাররাও একই সমস্যাতে আছে। এদিকে দোহার নবাবগঞ্জে গরুর সর্বোচ্চ বিক্রি মূল্য ছিল সাদাপুর হাটে। সেখানে বিক্রীত গরুর মূল্য ছিল ৫লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ।