কোনো ধর্মীয় সহিংসতা নেই। শান্তি আর নিরাপদে বাস করছেন দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষ। আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের সার্বিক উন্নয়নে আমি পাশে থেকে কাজ করতে চাই। সোমবার বিকালে ঢাকার দোহারে লটাখোলা চরজয়পাড়া হরিসভা মন্দিরে ১৫ দিনব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের বার্ষিক সভার সমাপনী দিনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জে বসবাসরত হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন যুগ যুগ ধরে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বসবাস করছেন। এ অঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন প্রাচীন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তারই স্বাক্ষর বহন করে। আমি দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের শান্তির জন্য সব কিছু করব।
সালমা ইসলাম এমপি বলেন, আমি আপনাদের ভোটে এ এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলের ঘটনা অনেকটা কমেছে। আমি আপনাদের পাশে আছি, যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা আমাকে পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ। শাসক নয়, সেবক হিসেবে দোহার-নবাবগঞ্জের সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। এ অঞ্চলের সব রাস্তাঘাট উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
সালমা ইসলাম বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জে দুটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারি হয়েছে। পদ্মা রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। জনজীবনের প্রয়োজনে খুব দ্রুত অন্যসব কাজ চলবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো। সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আশা করি দলমত নির্বিশেষে সবাই আমাকে সহযোগিতা করলে কোনো অপশক্তিই এ পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারবে না।
সালমা ইসলাম এমপি এ সময় মন্দির কমিটির সভাপতির হাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়া পাশেই জয়পাড়া চরলটাখোলা পুরনো মন্দির পরিদর্শন করে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন সংস্কারের জন্য।