সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে এ বছর মা দুর্গা গজে করে পৃথিবীতে আসবেন। পূজা উপলক্ষে ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব বয়সের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ঘরে ঘরে আনন্দ বইতে শুরু করেছে। শান্তির দেবীকে বরণ করে নিতে কেউ কেউ মার্কেটে যাচ্ছে পূজার নতুন কাপড় কিনতে। বাজারে এক প্রকারের ধুম পড়েছে। পিঠা, নাড়– তৈরির জন্য নারিকেলসহ নানা উপকরণ কেনাও চলছে জোরেশোরে।
ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন পূজাম-পে প্রতিমা তৈরির কাজ। কাশফুল ফোটা শরতের শেষদিকে দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণভাবে সাজাতে এ দুই উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে চলছে দেবীদুর্গা মায়ের মূর্তি তৈরিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি। চলছে প্রতিমা রং-তুলির আঁচড়। তাই প্রতিমা তৈরি ও রং-তুলিতে ব্যস্তসময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ও স্থানীয় প্রতিমা শিল্পীরা।
উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জানায়, আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন হতে যাচ্ছে। ২৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে এ পূজা শেষ হবে। এ বছর দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১৮৫টি ম-পে শারদীয় দুগাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেশি পূজাম-প রয়েছে। এখানে মন্ডপের সংখ্যা ১৫৫টি এবং পাশ্ববর্তী দোহার উপজেলায় ৩০টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নিতাই চাঁদ তালুকদার জানান, আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদ্যাপনের প্রস্তুতি চলছে।
দোহার উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ পাল অপু জানান, দোহারের মুকসেদপুর এবং নয়াবাড়ির ইউনিয়নের কিছু কিছু মন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসন নিয়েছে।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ ওসি সায়েদুর রহমান জানান, পূজা উদযাপনের ব্যাপারে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ম-পের কমিটির সদস্য ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। কোথাও যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
দোহার থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আপনার মতামত দিন