দোহার ও নবাবগঞ্জকে ১৪টি আধুনিক থানা প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে – সালমান রহমান

1048

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  দোহার নবাবগঞ্জে রবিবার বিজয় দিবসে সালমান রহমানের রাতদিন গণসংযোগ করেছেন। তিনি নবাবগঞ্জের আগলা, গালিমপুর, চুড়াইন, দোহারের বিলাশপুর, জয়পারা ও লটাখোলায় এই গণসংযোগ করেন। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মি আওয়ামীলীগে যোগ দেন।

এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জকে সারাদেশে ১৪টি আধুনিক থানা প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে – সালমান রহমান । সারাদেশের মধ্যে ১৪ টি উপজেলাকে নগরাায়ণের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন তার মধ্যে দোহার নবাবগঞ্জ কে অন্তর্ভূক্ত করিয়েছি।দোহার নবাবগঞ্জ হবে উপশহর। দোহার-নবাবগঞ্জে মা-বোনদের দাবী হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ। যেটা মানুষের স্বপ্ন ছিল এখন তা বাস্তব। এটা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে। আমি আজ আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই, ইতিমধ্যে আমার উদ্যোগে দোহার-নবাবগঞ্জে গ্যাস দিতে কেরাণিগঞ্জে গ্যাস পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। তাই, উন্নয়নের ধারা কে স্বচল রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুনঃরায় প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।

কোন প্রার্থী দেখে নয় নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেওয়ার জন্য বললেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান।

তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, আপনারা দেখেছেন গত ১০ বছরে বাংলাদেশে কত উন্নয়ন হয়েছে, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে। তার মধ্যে দুইটি উদাহরণ দিচ্ছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। পদ্মা সেতু আমাদের নিজেদের অর্থায়নে হচ্ছে। পদ্মা সেতুর ৭১% কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া তিনি পদ্মার ভাঙ্গন রোদে ১ম ধাপে ২১৭ কোটি ২য় ধাপে ১৪৮৩ কোটি টাকার মেঘা প্রকল্প অনুমোদন করিয়েছেন বলে জানান। মেঘুলা বাজার কে রক্ষা করতে ১৬ কোটি টাকা তাৎখনিক অনুমোদন করিয়েছেন।

অন্য খবর  যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে খেলাধুলার চর্চা বাড়াতে হবে: সালমা ইসলাম


আবার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার ও শ্রীনগর সড়কের জন্য ৪৭২ কোটি টাকা এবং ৭২ টি গ্রামীন রাস্তার উন্নয়নে জন্য ৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন করিয়েছেন।

তিনি তার ওয়াদায় বলেন যে, তিনি দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দোহার ও নবাবগঞ্জের ধলেশ্বরী,কালিগঙ্গা,ইছামতীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ,পদ্মার তীরে ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা,টুরিস্ট স্পষ্ট স্থাপন, এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন,ইছামতীর পানির প্রবাহ ও নাব্যতা বাস্তবায়ন,নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৭০০/৮০০ একর জায়গায় বড় মাপের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।গ্যাস পাইপ লাইন সংযোগ প্রদান,ব্রিজ কালভার্টের উন্নয়ন,নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা,আড়িয়াল বিল ও কোঠাবাড়িসহ সর্বত্র কৃষি ও মৎস উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।তাঁতি ও জেলেদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান,নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ,শিক্ষা উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ,দোহার নবাবগঞ্জ এলাকায় একটি আধুনিক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা,স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণ,মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ,বাজার এলাকায় যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক বা ফ্লাইওভার নির্মাণ,নতুন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা,যুব সমাজের কর্মসংস্থান,ধর্মীয় মূল্যবোধের সংরক্ষণ,সামাজিক হানাহানি প্রতিরোধ এবং দোহার নবাবগঞ্জকে শান্তির জনপদ ও ব্যাপক উন্নয়নশীল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে এগিয়ে চলেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি শহীদ খন্দকার, মহাপরিদর্শক নিবন্ধন ড. খান মোঃ আব্দুল মান্নান, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব, মাহবুবুর রহমান, দোহার উপজেলার চেয়ারম্যান আলমগির হোসেন, সাধারন সম্পাদক আলী আহসান খোকন,বিলাশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আক্তারুজ্জামান খালসী, মোঃ আলী ঘটু খালাসী, সেলিম তালুকদার, হবি খালাসী, রেজাউল কবীর খালাসী, সুলতান খালাসী, দেলোয়ার খালাসী, স্বপন খালাসী, তিলক খালাসী, মেম্বার বিল্লাল হোসেন খালাসী, মনির তালুকদার, নজরুল ইসলাম, হৃদয় আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম, তালহা, সাংবাদিক মহিউল ইসলাম পলাশসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

আপনার মতামত দিন