দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমস্যা জর্জরিত ॥ রোগীরা সেবাবঞ্চিত

2917
দোহারে নতুন করে ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সংকট থাকার কারনে ব্যাহত হচ্ছে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম।চিকিৎসক ও নার্স সংকট থাকার কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা এসেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ায় অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।

অপরদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমকালকে চিকিৎসক সংকটের সত্যতা স্বীকার বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৮২ জন রোগী ইনডোরে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন

সরেজমিনে দেখা যায়, দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ১০০ শয্যার হাসপাতালটি।বাস্তবে ২০ শয্যার জনবলও নেই হাসপাতালটির। ১৮টি চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন ৫জন ডাক্তার, ৫ জন নার্স ও পরিছন্ন কর্মি মাত্র ২জন তাও বয়সের ভারে ন্যুজ। নারী ও শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা আরোও নাজুক।ভবনটি সংস্কারের অভাবে বেশ কয়েক জায়গায় ফাটল ধরেছে।বৃষ্টিতে ভবনের ফাটল চুয়ে পানি পড়ে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৮২ জন রোগী ইনডোরে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।ভর্তি রোগীদের খাবারের পরিবেশ ভালো হলেও হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে।এ কারনে বাইরে থেকে মিনারেল ওয়াটার কিনে খাবার পানির প্রয়োজন মিটাতে হয়। হাসপাতাল থেকে কয়েকটা ওষুধ পাওয়া গেলেও সব ধরনের ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে হয়।হাসপাতালে আল্টাসনোগ্রাম,রক্ত,এক্্ররে ও ইসিজি মেশিন থাকলেও তা বিকল হয়ে আছে রোগীর সংখ্যা বেশী থাকলেও অতিরিক্ত বেড না থাকাতে অভাবী রোগীরা শয্যার অভাবে নারী-পুরুষ মেঝেতে পাশাপাশি শুয়ে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান রোগীরা।এছাড়াও হাসপাতালে সুইপারের অভাবে বিরাজ করছে দুর্গন্ধময় পরিবেশ।এতে একদিকে যেমন সাধারন মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রমও ভেঙে পড়েছে।

অন্য খবর  দোহার বাজারে মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনা

রোগী রিনা বেগম জানান, গাইনি ডাক্তারদের প্রাইভেট ছাড়া পাওয়া যেন দুরূহ ব্যাপার।এছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন ব্যবস্থাই নাই।হাসপাতালের বাইরে ১০০গজের মধ্যে আছে আধুনিক পরীক্ষার ব্যবস্থা।সেখানে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকার মধ্যে আছে সব ধরনের ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইয়াহিয়া ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ছোট ছোট কাটা-ছেঁড়া, জ্বর,শর্দি-ঠা-া রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সিজারিয়ান ও বড় ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে এ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক না থাকায় বন্দ রয়েছে এই বিভাগের কার্যক্রম।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জসিম উদ্দিন জানান,হাসপাতালে তীব্র ডাক্তার সংকট ও পরিছন্ন কর্মি ২ জন থাকাতে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।তাছাড়া সংস্কারের অভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দিনদিন সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আল-আমিন বলেন, জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ সহ সংস্কার প্রয়োজন।আমাদের এডিবি’র ফান্ড থেকে এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে যা তুলনায় সামান্য।

আপনার মতামত দিন