বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বন্যাদুর্গত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনা সদস্যরা। গত প্রায় এক মাসেরও অধিক সময় কাল যাবত পদ্মা নদীর পানি অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় নদীর উপকূলবর্তী হাজার হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে। করোনা মহামারীর পাশাপাশি তীব্র বন্যার কারণে আয় রোজগার না থাকায় উপজেলার অসংখ্য মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ। এই সকল মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে গত কিছুদিন যাবত বন্যা পীড়িত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে আসছে ৯ পদাতিক ডিভিশনের সেনা সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দোহার উপজেলার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন পয়েন্টে প্রায় তিনশতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর ভিতরে ছিল চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, লবণ সহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী। এ সময় উপস্থিত সেনা কর্মকর্তা মেজর রাশাদ বিন কালাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনা মহামারীর মাঝে বন্যা দুর্গত মানুষদের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আজ ট্রলার এবং নৌকায় করে নদীর একদম উপকূলবর্তী হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে ত্রাণ বিতরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই দুর্যোগ যতদিন চলমান থাকবে ততদিন আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা প্রদান করা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। পৃথিবী ব্যাপী চলমান করোনা মহামারীর থাবা থেকে মুক্তি পায়নি দোহার উপজেলার মানুষজনও। এই মহামারীর মাঝে উপদ্রুত এলাকায় সার্বিক সহযোগিতায় গত ২৪ মার্চ থেকে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো দোহারে সেনা সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। এর মাঝে হঠাৎ করে তীব্র বন্যা শুরু হাওয়ায় দোহার উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এলাকার জনসাধারণ। বন্যা পরিস্থিতির মাঝে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ট্রলারে করে বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ায় দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝেও ঈদের আমেজ বইছে। ভবিষ্যতের দিনগুলিতে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এ ধরনের সহায়তা পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা।
আপনার মতামত দিন