জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দোহারে পদ্মার ভাঙ্গণ থেকে রক্ষায় বাধ নির্মাণের ওয়াদা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা-১) আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় নয়াবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অধিক ব্যায়ে বাধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
কিন্তু বাহ্রা থেকে অরেঙ্গাবাদ পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার বাধে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গণ। পদ্মানদীতে অবৈধভাবে কাটার দিয়ে বালু উত্তোলন ও বাধের পাড় ঘেষে বাল্কহেড দিয়ে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কারনে এমন ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাধের অনেকাংশ ভেঙ্গে গিয়ে পাথরের ব্লকগুলো সরে যাচ্ছে। অনেকে আবার বাধের উপর দিয়ে নিয়েছে ড্রেজারের পাইপ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন ব্যাক্তিসহ সাথে এলাকার আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পদ্মায় কাটার দিয়ে ও বাধের পাড়ে বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। প্রশাসনের অভিযানের পরেও থেমে নেই বালু খেঁকোরা। ভাঙ্গণের কারনে নয়াবাড়ি ইউনয়নে পদ্মার পাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এমন খবরে পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। তিনি এই পদ্মা ভাঙ্গা প্রসঙ্গে জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই বাধের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় তিনি অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীদের আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন আমাদের নেতা সালমান এফ রহমান এমপি’র উদ্যোগে আমাদের সকলের কাঙ্খিত বাঁধ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে। কারো ব্যক্তিস্বার্থের কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কাইকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রশাসনকে বার বার বলেছি এ বিষয় তারা কোন ব্যবস্থা নেন নি। আমি জানিনা কোন অদৃশ্য কারনে বা ক্ষমতার জোরে তারা এখনো ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উতলন করছে। তাই আমরা প্রশ্ন রইল প্রশাসনের কাছে যে তারা কোন ক্ষমতা বলে এখনো বালু তুলতেছে এবং তারা কেন এ বিষয়ে এখনো কোন প্রদক্ষেপ নেননি?
আমার ঘরবাড়ি এই পদ্মায় ভেঙে গিয়েছে আমি জানি ঘরবাড়ি ভাঙার কষ্ট।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন বলেন, বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কর্মকান্ড কেউ করলে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। এছাড়া যদি কেউ দোহারের সীমানায় পদ্মা নদীতে অবৈধ কাটার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।