মো:রাতুল ইসলাম ♦ দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের সৌদি প্রবাসী লুৎফর শিকদারের ৫ বছরের শিশু রুহুল শিকদারকে অপহরণের ৭ ঘণ্টার পর আহতাবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রুহুল কে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির পাশে মুদি দোকানের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে রুহুলের মা রুবিয়া আক্তারকে ৫ লাখ টাকা ও বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে এবং র্যব-পুলিশকে খবর দিলে তার ছেলেকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। শিশুর মা অপহরণকারীদের সকালে টাকা দেয়া হবে বলে জানায়। রুহুলের অপহরণের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন ওই রাতেই খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে না পেয়ে দোহার থানা পুলিশ খবর দেন। সকালে চাচা রমিজ শিকদার গরু নিয়ে কোঠাবাড়ি বিলে যায়। সেখানেও তার ভাতিজার খোঁজ করতে থাকে। ফেরার পথে বাস্তা চাড়াল বাড়ির খালি বাগানের পাশে রুহুলের ব্যবহৃত জুতা দেখতে পায়। তখন সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রুহুলকে খুঁজতে থাকে। খালি বাগানের জঙ্গলের ভেতরে রুহুলকে আহতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায় এবং তার দুটি চোখ চাকু দিয়ে আঘাত করে উপড়ে ফেলেছে অপহরণকারীরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে রুহুলের খালু আয়নাল মেম্বর বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।