ঢাকার দোহারে মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান’র বিরুদ্ধে সাত বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের দুবলি খাদিজাতুল ক্বোবরা মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত শিশুটি দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসার পরে তার মা তাকে গোসল করাতে গেলে শিশুটির শরীরে বিভিন্ন স্থানে লালচে দাগ দেখে চমকে উঠে এবং তার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি তার মাকে জানায়, আমি এ কথা কাউকে বললে স্যার আমার গলা কেটে ফেলবে।
প্রতিবেশিদের জোরাজোরিতে শিশুটি জানায়, প্রায়দিন শিক্ষক হাবিবুর রহমান আমাকে (শিশু) কোলে নিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে চাপতে থাকে এবং সে বলেছে এ কথা কখনো কাউকে বললে গলা কেটে মেরে ফেলবে। পরে প্রতিবেশি ও স্বজনরা মাদ্রাসায় গিয়ে ঐ শিক্ষককে খুজে পায়নি।
মংগলবার শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দোহার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। শিক্ষক হাবিবুর রহমান পলাতক আছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমানের শাস্তি চেয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুছ মোড়ল জানায়, এর আগেও এই মাদ্রাসায় ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন ও চুল কর্তনসহ অনেক আইন বিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।