দোহারে শিক্ষকদের বকেয়া বেতনে কমিশন দাবির অভিযোগ

378

নাইম : দোহারে শিক্ষকদের বকেয়া বেতনে  কমিশন দাবির অভিযোগ করেছেন শিক্ষকেরা। দোহার উপজেলার জাতীয়করণকৃত ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস হতে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বকেয়া মূল বেতনসহ, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, মহার্ঘ ভাতা প্রভৃতি প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের গড়িমসি এবং প্রাপ্ত বেতন ভাতার উপর ১০% কমিশনের দাবিতে ভূক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ তাদের নিজ নিজ বেতন ভাতা তুলতে পারছেন না। বেতন ভাতা না পাওয়ার কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন চরম অসহায় অবস্থায়। তারা না পারছে কোন প্রতিবাদ করতে না, পারছে কারো কাছে অভিযোগ দিতে। অভিযোগ করলে তাদের আছে নানা হয়রানি হওয়ার আশঙ্কা।

২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক মহাসম্মেলনে ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১লা জানুয়ারি ২০১৩ সাল হতে একযোগে জাতীয়করণ ঘোষনা করেন। সেই সাথে ২৬ হাজার বিদ্যালয়ে কর্মরত সকল শিক্ষক শিক্ষিকাগণকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারিকরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী সরকারিকরণকৃত দোহার উপজেলার ৩৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের প্রাপ্ত মোট বকেয়া বেতন ভাতার উপর সংশ্লিষ্ট বেতন ভাতা প্রস্তুতকারী কর্মকর্তাগণের ১০% কমিশনের দাবিকৃত অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে ভূক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বর্তমানে মানবেতর জীবনÑযাপন করছেন।

অন্য খবর  দোহারে ফায়ারসার্ভিসের অগ্নি নির্বাপনের মহড়া

কমিশন দাবির টাকা প্রদান করতে শিক্ষদের সাথে বকেয়া বেতন প্রস্তুতকারী কর্তৃপক্ষের সাথে দরকষাকষির পর শিক্ষকগণকে জন প্রতি চার হাজার টাকা করে মোট ১,৪৪,০০০/= (এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।  শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন বেতন ভাতা না পেয়ে দারদেনা করে চলতে চলতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হওয়ায় ৪ হাজার টাকা করে প্রদান করতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হতে হবে। বেশির ভাগ ভুক্তভোগী শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন কারণ তাদেরকে পরবর্তী দাপ্তরিক কাজ করার জন্য বেতন প্রস্তুতকারী কর্তৃপক্ষের নিকট যেতে হবে বিধায়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষিকা জানান, বকেয়া বেতন প্রস্তুতকরনের জন্য প্রস্তুতকারীগণকে আমরা ৩৬ জন শিক্ষকÑশিক্ষিকা জন প্রতি দুই হাজার টাকা করে মোট ৭২ হাজার টাকা খুশি হয়েই প্রদান করতে রাজি হলেও তাদের দাবিকৃত ১০% কমিশন প্রদান করতে রাজি না হওয়ায় বকেয়া সহ বেতন ভাতা তুলতে পারছি না। বেতন না তুলতে পারায় বর্তমানে আমরা নিদারুন আর্থিক সমস্যার মধ্যে আছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন শিক্ষক জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলাধীন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ খুশিমনে জন প্রতি ২ শত টাকা করে দিয়ে বকেয়া বেতন ভাতা তুলেছেন। অথচ ১০% কমিশন না দেওয়ায় আমরা এখনো বকেয়া বেতন ভাতা তুলতে পারছি না।

আপনার মতামত দিন