দোহারে মহিলা মাদ্রাসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট: ৯ জন আহত, ৪ জনকে ঢাকা প্রেরণ

92
Oplus_131072

মো আল-আমিন, স্টাফ রিপোর্টার: দোহারে চরলটাখোলা এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া দারুণ নাজাত মাদরাসা সংলগ্ন ৩৩ হাজার কেভির বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের বিস্ফোরণে মাদরাসা শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ ৯ জন আহত হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ৪ শিক্ষার্থীকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। মূলত নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ না করায় এই দূর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানায়, বিকাল ৩টায় মাদরাসার ৪র্থ তলায় শিক্ষার্থীরা ভিজে কাপড় শুকাতে গেলে পাশ দিয়ে টানা ৩৩ হাজার কেভির লাইনের সাথে স্পর্শ হলে তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে আসে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হয়। তাদেরকে প্রথমে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর মধ্যে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাদিয়া আক্তার (১৮), আমেনা সুলতানা (১৭), ফাতেমা আকতার(১৭), নুসাইবা(১৮) গুরুতর অসুস্থ হয়। তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

দোহার পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, মাদরাসার কাছে বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে যাই। এ সময় সেখানে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ ও কান্নাকাটি করছে দেখতে পাই। পরে ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

অন্য খবর  দোহারে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর অযত্নে আর অবহেলায়

জামিয়া ইসলামিয়া দারুণ নাজাত মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার বলেন, বিদ্যুতের লাইন থেকেই বিস্ফোরণ হয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে আল্লাহ রহমত করেছে। প্রাণনাশের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর ডিজিএম মো. সাদেক মিয়া বলেন, ঘটনা শুনেই প্রকৌশলীসহ অন্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। যাতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে তাদের কোনো ত্রুটি নেই। রাস্তার পাশ দিয়ে যে সব সঞ্চালন লাইন প্রবহমান সেখানকার ভবন মালিকদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিলো। অনেকেই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করেনি। ফলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

আপনার মতামত দিন