দোহারে ভাড়াটিয়াকে নামিয়ে দেয়ায় দোকান মালিককে হুমকি

489
দোহারে যুবককে পিটিয়ে যখম

দোহারে নিয়মিত ভাড়া প্রদান না করায় নূর মোহাম্মদ নূরু নামে এক ভাড়াটিয়াকে দোকান থেকে নামিয়ে দেয়ায় দোকান মালিককে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দোকান মালিক তায়েবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান জানান, ১লা জানুয়ারি ২০১০ সালে ৫ বছর মেয়াদি চুক্তিপত্রে টিসিএল শোরুমে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ভাড়া নেন ভাড়াটিয়া নূর মোহাম্মদ নূরু। গত ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ সালে এই ৫ বছর চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলেও বাড়িওয়ালার নিজ প্রয়োজনে দোকান ঘর প্রয়োজন হওয়ায় দোকান ঘর খালি করে জামানতের টাকা ফেরত নিয়ে দোকান ছেড়ে দেয়ার নোটিশ প্রদান করেন। পরপর ৩টি নোটিশ করার পরও ওই দোকান ছেড়ে না দিয়ে টালবাহানা করে বিভিন্ন উপায়ে জোরপূর্বক আরও ৫ বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছেন। একপর্যায়ে গত ৮ই মে দোকান মালিক মিজানুর রহমান দোহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোহার থানা প্রশাসন ও জয়পাড়া পূর্ববাজার সমিতির সদস্যদের নিয়ে বসলে ১৯শে জুন ২০১৯ এর মধ্যে দোকান ছেড়ে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন ভাড়াটিয়া। ১৫ই জুন অতিবাহিত হলেও দোকান থেকে না নেমে দোকানে জোরপূর্বক থাকার চেষ্টা করেন তিনি। পরে জয়পাড়া পূর্ববাজার ব্যবসায়ী সমিতি প্রশাসনকে অবহিত করে বাজার কমিটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভাড়াটিয়া নূর মোহাম্মদ নূরুর দোকানে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার কর্মচারী মো. জিয়াদ ও নূরুর ছেলে মো. কায়েস-এর উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা দোকানের মালামালের একটি তালিকা প্রস্তুত করে পার্শ্ববর্তী একটি গোডাউনে নিরাপত্তার স্বার্থে সংরক্ষণ করেন।

অন্য খবর  দোহারে দুর্নীতি বিরোধী মানববন্ধন ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

এর আগে নূরুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তাতে কর্ণপাত না করে উল্টো তাকে দোকান থেকে বের করে দেয়ায় মামলা করা সহ দেখে নেবেন বলে ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের হুমকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে জয়পাড়া পূর্ব বাজার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হাসেম ( হাসি) জানান, নুরু আমাদের ব্যবসায়ীদের সুনামকে ক্ষুণ্ন করেছে। তাকে ব্যবসায়ী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একাধিক নোটিস করার পরও তিনি দোকান খালি করেননি। পরে থানা প্রশাসনকে অবহিত করে আমরা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী দোকান মালিককে সঙ্গে রেখে তাকে দোকান থেকে নেমে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এ বিষয়ে ভাড়াটিয়া নূর মোহাম্মদ নূরু হুমকির কথা অস্বীকার করে পরে কথা বলবো বলে মুঠোফোন কেটে দেন।

আপনার মতামত দিন