দোহারে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা: আতঙ্কে নদী তীরের বাসিন্দারা

800
দোহারে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা

বর্ষা শুরু হতে না হতেই ঢাকার দোহারে ফের শুরু হয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যেতে পারে আরও বিস্তৃর্ণ জনপদ।

গত বছর ভাঙনের মাত্রা কম থাকলেও এবার গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয়েছে ভাঙন। পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতাও। এভাবেই বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি, বসতভিটা ও গাছ-গাছালি। এ কারণেই পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত বছর স্থানীয় ভাবে বাঁশ, বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এবার কোন পক্ষ থেকেই তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। যার ফলে গত এক মাসে অর্ধশতাধিক পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।

নদী পাড়ের বাসিন্দা মজিবুর শেখ, তারা মিয়া, আদুসহ আরো অনেকেই জানান, গত ১৫ দিনে নারিশা ইউনিয়নের নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় বেশ কয়েকটি বসত ভিটা পদ্মা নদীতে চলে গেছে। উপজেলার বাহ্রাঘাট থেকে অরঙ্গবাদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন দরানি বলেন, “নিজ উদ্যোগে খুব শীঘ্রই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেব। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাব।“ একই কথা বলেন বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা।

অন্য খবর  নদী ভাঙ্গনে বিলিনের পথে মিনি কক্সবাজার

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম.আল-আমীন বলেন, ”দোহারের যেসব স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে সেসব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধে  কাজ শুরু করা হবে।“

আপনার মতামত দিন